নিম্নমানের কিটক্যাট চকোলেট বাজারজাতের অভিযোগে নেসলে বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর দিপাল আবে বিক্রমা এবং পাবলিক পলিসি ম্যানেজার রিয়াসাদ জামানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন নিরাপদ খাদ্য আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত সাহারা বীথি। সোমবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক কামরুল হাসানের আবেদন পর্যালোচনা করে এই নির্দেশ দেন আদালত।
চলমান তদন্তে জানা যায়, নিম্নমানের কিটক্যাট চকোলেটের বিষয়ে আগের একটি মামলা (২০/২০২৫) ইতোমধ্যে বিচারাধীন রয়েছে। সেই মামলায় আমদানিকারক সুমাইয়া এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. মোজাম্মেল হোসাইনের বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির আমদানিকৃত পণ্যেও গুরুতর মানহীনতার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
ল্যাবরেটরি পরীক্ষায় নিশ্চিত হওয়া গেছে, নেসলে বাংলাদেশের আমদানি করা কিটক্যাট চকোলেটেও দুধের কঠিন অংশ এবং দুগ্ধ চর্বির পরিমাণ নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্ধারিত মানের চেয়ে কম। খাদ্য নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের মতে, এই মানহীন উপাদান জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন।
মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১৫ ডিসেম্বর। আদালতের নির্দেশের পর বিষয়টি খাদ্য নিরাপত্তা ও আমদানি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় আরও কঠোর নজরদারির দাবি তুলেছে সংশ্লিষ্ট মহল। ভোক্তা অধিকার বিশেষজ্ঞদের মতে, আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড হলেও নেসলে বাংলাদেশকে পণ্যের মান নিশ্চিত করতে দায়বদ্ধ থাকতে হবে।
সূত্রঃ দ্য টেলিগ্রাফ
এম.কে

