ভূমি বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ, যা দেশের উন্নয়ন ও জনগণের জীবনমানের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলছে মনে করেন এই অঞ্চলের ভূগোল বিশ্লেষকেরা । একটি ছোট্ট ভূখণ্ডে বিপুল জনসংখ্যার চাহিদা মেটাতে ভূমির সদ্ব্যবহার ও নতুন ভূমি সৃষ্টির উদ্যোগ অত্যন্ত জরুরি বলে মত দিয়েছেন তারা। দেশের উপকূলীয় অঞ্চল এবং নদ-নদী থেকে প্রাপ্ত সম্পদ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ভূমি পুনরুদ্ধার ও টেকসই উন্নয়ন সম্ভব বলে তারা মনে করেন।
যেসব এলাকায় বিচ্ছিন্নভাবে চর জেগে উঠছে, সেখানে ক্রসবাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে ভূমি উদ্ধার এবং বনায়ন করে তা স্থায়ী করা সম্ভব। নেদারল্যান্ডস এ পদ্ধতি ব্যবহার করে সাগর তীরবর্তী এলাকা থেকে ব্যাপক পরিমাণ জমি উদ্ধার করেছে। বাংলাদেশেও পদ্মা, মেঘনা, যমুনার মতো নদীগুলো প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ পলি বহন করে সাগরে নিয়ে যায়। এসব পলির ফলে নদীতে প্রচুর চর জেগে ওঠে। বিশেষ করে মেঘনা মোহনায় নোয়াখালী জেলায় গত কয়েক দশকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক চর সৃষ্টি হয়েছে। ৫০-এর দশক থেকে এই ধারা চলমান।
ত্রিশ বছর আগে বাংলাদেশের যে অঞ্চলে জাহাজ চলত, এখন সেখানে রাস্তা হয়েছে, বাস চলাচল করছে। এ থেকেই বোঝা যায়, বাংলাদেশের আয়তন ক্রমশ বাড়ছে। সাম্প্রতিক সময়ে স্বর্ণদ্বীপ, ভাসানচরের মতো অনেক চর জেগে উঠেছে। যদিও কিছু চর সাগরে বিলীন হয়ে গেছে, তবুও অনেকগুলো টিকে আছে এবং কিছু চর মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়ে গেছে।
তবে এখনও প্রচুর পলি সাগরে চলে যাচ্ছে, যা বাংলাদেশ অঞ্চল যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারছে না। উপকূলীয় এলাকায় বিশেষ ধরনের বাঁধ নির্মাণ করে এই পলি আটকে নতুন ভূমি তৈরি করা উচিত বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এর মাধ্যমে তারা দেশের আয়তন বাড়ানো সম্ভব বলে মনে করেন।
এম.কে
২০ জানুয়ারি ২০২৫