মাইকোলাইভ থেকে শুরু করে কিয়েভ এবং খারকিভ পর্যন্ত দেখতে পাওয়া গেছে ব্রিটেনে কেনা সেকেন্ড-হ্যান্ড গাড়ি, পিক-আপ ও মিনিভ্যান। এগুলোতে এখনও ব্রিটেনের নাম্বার প্লেট লাগানো। আর এই গাড়িগুলো যুদ্ধের ফ্রন্টলাইনে ব্যবহার করছে ইউক্রেন।
দ্য গার্ডিয়ান জানায়, এই গাড়িগুলো ইউক্রেনের একজন যোদ্ধার কল্যাণে সেখানে নেওয়া হয়েছে। তার নাম সেরহি প্রিতুলা (৪০)। তিনি একজন প্রাক্তন অভিনেতা ও কমেডিয়ান। বর্তমানে ইউক্রেনীয় সশস্ত্রবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার হিসাবে কর্মরত।
প্রিতুলা জানান, ব্রিটিশ যানবাহনের দাম খুবই আকর্ষণীয়। ইউরোপের মূল ভূখণ্ডে তৈরি গাড়ির দামের প্রায় অর্ধেক মূল্যে কেনা যায় এগুলো।
কিয়েভের একটি ডোনেশন সেন্টারের দায়িত্বে থাকা প্রিতুলা জানান, বর্তমানে মাসে প্রায় ৭ মিলিয়ন ডলার অনুদান পাচ্ছেন তিনি। এরমাধ্যমে বুলেটপ্রুফ ভেস্ট এবং থার্মাল টেলিস্কোপ থেকে শুরু করে দূরবীন, ড্রোন, মেডিকেল কিট, বৈদ্যুতিক জেনারেটর ইত্যাদি সামরিক সরঞ্জাম মজুত এবং বিতরণ করা হয়।
এই তহবিলের একটি অংশ দিয়ে ব্রিটিশ গাড়িগুলি সেকেন্ড-হ্যান্ড ডিলারশিপ এবং যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন ব্যক্তিদের কাছ থেকে কেনা হয়, যারা কম দামে গাড়িগুলো বিক্রি করতে রাজি। অনেক সময় ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে এর মূল্য পরিশোধ করা হয়। এরপর ফেরিতে ইংলিশ চ্যানেল পার করে, ট্রাকের পেছনে করে এগুলোকে আনা হয় ইউক্রেনে। সেখান থেকে ফ্রন্ট লাইনের যেসব অঞ্চলে সামরিকবাহিনীর বেশি প্রয়োজন দেখা দেয়, সেখানে সরবরাহ করা হয়।
জানা যায়, এখন পর্যন্ত ২০টি ব্রিটিশ গাড়ি সরবরাহ করা হয়েছে। কিয়েভের স্বেচ্ছাসেবীরা এগুলোর ডাক নাম দিয়েছে ‘হেল রাইডস’, অর্থাৎ নরকের যাত্রা। আরও ২০টি গাড়ি কেনার প্রক্রিয়া চলছে।
৪ এপ্রিল ২০২২
এনএইচ