করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় ফ্রান্সে রাত্রীকালীন কার্ফিউ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া ইউরোপের অনেক দেশেই দেয়া হচ্ছে নতুন করে লকডাউন।
জানা যায়, ইউরোপের করোনভাইরাস হটস্পটগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ফ্রান্স। ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকার রাত্রীকালীন কার্ফিউ ঘোষণার করে। কার্ফিউয়ের কারণে শনিবার (১৭ অক্টোবর) প্যারিসসহ ৮টি ফরাসী নগরীর সড়কগুলো একেবারে নির্জন হয়ে থাকতে দেখা যায়।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ফ্রান্সে শনিবার রেকর্ড সংখ্যক করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। দেশটির প্রায় ৩২ হাজার ৪০০ জন নাগরিক নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
তবে অর্থনীতিতে এই কার্ফিউয়ের প্রভাব কী হতে পারে তা নিয়ে অনেকেই উদ্বিগ্ন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এরই মধ্যে অনেকে চাকরি হারিয়েছেন। এরকম চলতে থাকলে এই তালিকায় আরো অনেকে যোগ হবেন।
রেস্তোঁরা মালিকদের অভিযোগ, দুই মাসের লকডাউনের কারণে ইতোমধ্যে অনেক ক্ষতি হয়েছে তাদের। এখন আবার লকডাউন দিলে ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবেন না তারা।
ইতালিতেও নতুন করে লকডাউনে দেয়া হচ্ছে। রোববার (১৮ অক্টোবর) ইতালির প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কন্তে নতুন করে বিধিনিষেধ ঘোষণা করবেন বলে জানিছেন।
স্লোভাকিয়ার জনসংখ্যা প্রায় ৫.৪ মিলিয়ন। মহামারীর সাথে দেশটিও যুদ্ধ করে যাচ্ছে। সরকার এই মাসের শুরুর দিকে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে এবং এই সপ্তাহে নতুন বিধিনিষেধের জারি করেছে। গির্জার পরিষেবা বন্ধ, গণ মিলনায়তনে নিষেধাজ্ঞা, পুল, ব্যায়ামাগার বন্ধ এবং স্কুল খোলার ব্যাপারেও বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছে দেশটিতে।
স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইগর মাতোভিচ বলেছেন, আমরা ১০ বছরের বাচ্চা থেকে শুরু করে প্রত্যেক ব্যক্তিকে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করবো। আমরা যদি এই মহামারীকে থামাতে পারি তবে আমরা পুরো বিশ্বের জন্য একটি উদাহরণ স্থাপন করতে পারব।
জার্মানিতে করোনা আক্রান্তের ঘটনা ক্রমাগত বাড়তে থাকায় সবাইকে ঘরে থাকতে অনুরোধ করেছেন চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেল।
এদিকে পর্তুগালে সরকার গন জমায়েত সীমাবদ্ধ করে দিয়েছে। বিবাহ এবং ধর্মীও অনুষ্ঠানে ৫০ জনের বেশি লোক জমায়েত হতে পারবেন না দেশটিতে। তাছাড়া নেদারল্যান্ডে সবগুলো বার, রেস্তোরা, কফি শপ ১৪ অক্টোবর থকে বন্ধ রয়েছে।
নতুন করে লকডাউন পুরো ইউরোপ জুড়ে মানুষের জীবন যাত্রা বদলে দিয়েছে। গৃহবন্দি অবস্থায় শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন তারা।
সুত্র: বিবিসি
১৮ অক্টোবর ২০২০
এসএফ / এনএইচ