গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অগ্রদূত বলে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্র ফের একবার সেই স্লোগানকে প্রশ্নবিদ্ধ করল। লস অ্যাঞ্জেলেসে চলমান অভিবাসন বিরোধী বিক্ষোভ কভার করতে গিয়ে অস্ট্রেলিয়ান সংবাদমাধ্যম ৯নিউজ-এর মার্কিন প্রতিনিধি লরেন টমাসিকে পুলিশ রাবার বুলেটে গুলি করে আহত করেছে। এই ঘটনা ঘটেছে লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ ডিপার্টমেন্টের (এলএপিডি) সদস্যদের হাতে, যারা গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করার বদলে যেন রণক্ষেত্রে নেমেছিলেন।
সাংবাদিক লরেন টমাসি বিক্ষোভের ভিডিও ধারণ করছিলেন যখন পুলিশ হঠাৎই আক্রমণাত্মক অবস্থান নেয়। রাবার বুলেট তার পায়ে আঘাত করে—একটি স্পষ্ট বার্তা যেন, “আমরা কারো সত্য তুলে ধরার অধিকারকে সম্মান করি না।”
যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে মানবাধিকার, বাকস্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বলে সারা দুনিয়াকে নসিহত করে, সেই দেশেই সাংবাদিকদের নিরাপত্তা আজ প্রশ্নবিদ্ধ। এটা কোনো একনায়কতান্ত্রিক রাষ্ট্রের চিত্র নয়—এই ঘটনা ঘটেছে তথাকথিত ‘সভ্য’ ও ‘গণতান্ত্রিক’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই ধরনের আচরণ শুধু অসভ্য নয়, বরং এটি একটি বিপজ্জনক প্রবণতা, যা বিশ্বজুড়ে সাংবাদিকদের ওপর হুমকি সৃষ্টি করতে পারে।
অন্য দেশগুলোর মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চস্বরে কথা বলা যুক্তরাষ্ট্র নিজেই আজ গণতন্ত্রের ভানকারী এক অমানবিক শাসনের প্রতীক হয়ে উঠেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, যেখানে সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়, যেখানে মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে দমন করা হয়—সেই দেশকে আর “সভ্য গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র” বলা যায় না। আমেরিকা এখন নিজেই তার ভণ্ডামির মুখোশ খুলে ফেলেছে।
সূত্রঃ নাইন নিউজ
এম.কে
০৯ জুন ২০২৫