দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে চিকিৎসা শেষে লন্ডন থেকে দেশে ফিরে রাজধানীর গুলশানে নিজের বাসভবন ‘ফিরোজা’-তে প্রবেশ করেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। আজ দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সরাসরি ফিরোজায় আসার পর তিনি নিজেই গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে বাসার ভেতরে প্রবেশ করেন—যা ছিল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও আবেগঘন এক মুহূর্ত।
গত কয়েক বছর ধরে গুরুতর অসুস্থতায় ভুগছিলেন খালেদা জিয়া। চিকিৎসার জন্য দলীয় সিদ্ধান্তে তাকে লন্ডনে পাঠানো হয়, যেখানে দীর্ঘ চিকিৎসা শেষে তার অবস্থার কিছুটা উন্নতি ঘটে। ফিজিওথেরাপি ও অভ্যন্তরীণ চিকিৎসার দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে চিকিৎসকদের পরামর্শে এবং পরিবারের সম্মতিতে তিনি দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন।
আজকের এই প্রত্যাবর্তনে তাকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের শীর্ষ নেতারা। তার সঙ্গে ছিলেন ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার ও পরিবারের ঘনিষ্ঠ সদস্যরাও।
ফিরোজায় পৌঁছানোর পর খালেদা জিয়াকে স্বাভাবিকভাবে হাঁটতে দেখে উপস্থিত নেতাকর্মীদের মধ্যে আবেগের সঞ্চার হয়। অনেকেই চোখের জল গোপন করতে পারেননি। তারা মনে করছেন, এই প্রত্যাবর্তন শুধু একটি ব্যক্তিগত ফিরে আসা নয়, বরং রাজনৈতিকভাবে একটি শক্ত বার্তা—বিএনপি নেত্রী এখনও লড়াইয়ে আছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়া এখনো পুরোপুরি সুস্থ নন। তাকে নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখা হবে এবং চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী ধীরে ধীরে তার দৈনন্দিন কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করা হবে।
বিএনপির নেতাকর্মীরা মনে করছেন, দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে খালেদা জিয়ার এই প্রত্যাবর্তন নতুন করে চাঙ্গা করবে আন্দোলন ও সংগঠনের ভিত। বিশেষ করে আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে তার সক্রিয় ভূমিকার প্রত্যাশা করছেন তৃণমূলের নেতারা।
এম.কে
০৫ মে ২০২৫