1 C
London
February 6, 2025
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

গ্রেনফেল ট্র্যাজেডি, টাওয়ার ভেঙ্গে বানানো হবে স্মৃতিস্তম্ভ

গ্রেনফেল টাওয়ার ভেঙ্গে ফেলার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য সরকার। সরকার হতে ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য বছরের পর বছর লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে শোকাহত পরিবারগুলো।

গ্রেনফেল টাওয়ার, যেখানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৭২ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন, তা অবশেষে ভেঙ্গে ফেলা হবে বলে জানা গিয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যায় উপ-প্রধানমন্ত্রী ও হাউজিং সেক্রেটারি অ্যাঞ্জেলা রেনার গ্রেনফেল অগ্নিকাণ্ডের স্বজনহারাদের ও দূর্ঘটনা হতে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

গ্রেনফেল নেক্সট অব কিন (Grenfell Next of Kin) নামক শোকাহত পরিবারদের একটি সংগঠনের মুখপাত্র জানিয়েছেন, রেনার ঘোষণা করেছেন যে “টাওয়ারটি সতর্কতার সঙ্গে ভেঙে ফেলা হবে।”

অনেক স্বজনহারানো ব্যক্তি ও বেঁচে যাওয়ারা চান যে, টাওয়ারটি অপরিবর্তিত রাখা হোক যতক্ষণ না এই অগ্নিকাণ্ডের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক বিচার শুরু হয়। তবে, এ ধরনের বিচারিক প্রক্রিয়া এখনও অনেক দূরে বলে মনে করা হচ্ছে।

এর আগে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, “কাঠামোগত প্রকৌশল পরামর্শ অনুযায়ী, মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত অংশসহ সম্পূর্ণ ভবন সতর্কতার সাথে ভেঙে ফেলা উচিত।”

২০২৩ সালে একটি কমিশন রিপোর্টে “স্মৃতিস্তম্ভ” তৈরির সুপারিশ করা হয়েছিল, যা শোকাহত পরিবারগুলোর জন্য “শান্তিপূর্ণ স্মরণ ও প্রতিফলনের স্থান” হিসেবে ব্যবহৃত হবে।

গত মাসে সরকারের নকশা দলের একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে এবং আসন্ন গ্রীষ্মে চূড়ান্ত নকশা নির্বাচিত হবে বলে জানানো হয়।

কমিশন আশা করছে, স্মৃতিস্তম্ভের নকশাটি ২০২৬ সালের শেষের দিকে অনুমোদন পেতে পারে।

পরিকল্পনা অনুসারে, স্মৃতিস্তম্ভটিতে একটি বাগান, একটি স্মৃতিফলক এবং শোক প্রকাশের জন্য একটি নির্দিষ্ট স্থান অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

গ্রেনফেল তদন্তের প্রধান স্যার মার্টিন মুর-বিক বলেছেন, “ভবনটির বাইরের আবরণ ও অন্তরক সামগ্রী প্রস্তুতকারী ও বিক্রয়কারী সংস্থাগুলোর পদ্ধতিগত অসততার কারণে ভবনটি দাহ্য পদার্থে আবৃত ছিল।”

নির্মাণ খাতও কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছে, কারণ তারা উঁচু ভবনে দাহ্য উপকরণ ব্যবহারের ঝুঁকির বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

স্যার মার্টিন বলেন, “একটি সহজ সত্য হলো, সব মৃত্যুই এড়ানো সম্ভব ছিল। গ্রেনফেল টাওয়ারের বাসিন্দারা কর্তৃপক্ষের দ্বারা চরমভাবে ধোঁকা খেয়েছে”

২০২৩ সালের মে মাসে পুলিশ ও প্রসিকিউটররা জানিয়েছিলেন যে, তদন্ত সম্পন্ন হতে ২০২৫ সালের শেষ পর্যন্ত সময় লাগবে এবং ২০২৬ সালের শেষের দিকে অপরাধমূলক অভিযোগ আনার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত গ্রেনফেল টাওয়ার তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন উল্লেখ করেছে যে, “সরকারের কয়েক দশকের ব্যর্থতার ফল” ছিল এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।

২০১৭ সালের ১৪ জুনের মারাত্মক অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে গ্রেনফেল টাওয়ার এখনো দাঁড়িয়ে আছে। টাওয়ারটি বর্তমানে একটি বড় সবুজ কাভার দ্বারা আবৃত অবস্থায় আছে।

টাওয়ারে খোদাই করা রয়েছে “চিরকাল থাকবে আমাদের হৃদয়ে” বাক্যটি। দূর্ঘটনায় মৃত সেই ৭২ জনের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এই বাক্য লেখা হয়েছে বলে জানা যায়।

সূত্রঃ দ্য সান

এম.কে
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

আরো পড়ুন

যুক্তরাজ্যের নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য আসছে বড় সুখবর

টেমস ভ্যালি পুলিশের প্রধান সাময়িক বরখাস্ত

ব্রিটেনে তিন মাসে ৪ হাজারে বেশি অভিবাসী, নতুন রেকর্ড