চলমান ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশের সব তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।
রবিবার (৪ আগস্ট) বিজিএমইএ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজিএমইএর সভাপতি এসএম মান্নান কচির সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় শ্রমিক কর্মচারী ভাইবোনদের সার্বিক নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সারা দেশের সব পোশাক শিল্প কারখানা বন্ধ রাখার জন্য মালিকদের প্রতি অনুরোধ করা হলো।
এর আগে চলমান কোটা আন্দোলনকে ঘিরে ৩ দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। সরকার রবিবার নির্বাহী আদেশে এ ছুটির ঘোষণা দেন।
সরকারি চাকুরিতে চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ছড়িয়ে পড়া এই সহিংসতার প্রেক্ষিতে ১৯ জুলাই রাতে সারা দেশে কারফিউ জারি করে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
পরে ২১ থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত নির্বাহী আদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। সেই সপ্তাহের শেষ দুদিন বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত সীমিতভাবে সরকারি-বেসরকারি অফিস চলে আসছে।
পরিস্থিতি আরো স্বাভাবিক হলে গত সপ্তাহের শুরুর ৩ দিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি অফিস খোলা রাখা হয়। এরপর বুধবার (৩১ জুলাই) থেকে স্বাভাবিক সময় ধরে চলছে সব সরকারি-বেসরকারি অফিস।
তবে, শনিবার (৩ আগস্ট) থেকে পরিস্থিতি আবারো উত্তপ্ত হতে শুরু করে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা করেন।
অসহযোগ আন্দোলনের এই কর্মসূচিকে ঘিরে রবিবার ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছ। এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত বহু হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।
সারাদেশে সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনায় শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত কারফিউ বলবৎ থাকবে। এই সিদ্ধান্ত ঢাকাসহ সব বিভাগীয় শহর, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, শিল্পাঞ্চল, জেলা ও উপজেলা সদরের জন্য কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এম.কে
০৪ আগস্ট ২০২৪