TV3 BANGLA
আন্তর্জাতিক

চীনের নতুন দাবিঃ ‘অরুণাচল নেই, ওটাই জ্যাংনান’—দিল্লির কড়া প্রতিক্রিয়া

চীন আবারও অরুণাচল প্রদেশকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করেছে। বেইজিংয়ের ভাষ্য—ভারতের উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যের কোনো আইনগত অস্তিত্ব নেই; বরং অঞ্চলটি মূলত চীনের ‘জ্যাংনান’ বা ‘দক্ষিণ তিব্বত’। সাম্প্রতিক এক প্রেস ব্রিফিংয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, তারা “সো-কল্লেড ‘Arunachal Pradesh’” নামে কোনো ভারতীয় প্রশাসনকে স্বীকৃতি দেয় না।

 

চীনের পক্ষ থেকে বছরের পর বছর ধরে একই দাবি করা হলেও এবার বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় আসে শাংহাই বিমানবন্দরে অরুণাচল প্রদেশের এক ভারতীয় নাগরিককে ‘চীনা ভূখণ্ডের বাসিন্দা’ হিসেবে প্রশ্নবিদ্ধ করে জিজ্ঞাসাবাদের ঘটনায়। ভারতীয় নাগরিকের অভিযোগ, তাকে দেশটিতে প্রবেশের বৈধ নথি থাকা সত্ত্বেও চীনা কর্তৃপক্ষ জ্যাংনান সংক্রান্ত দাবি সামনে এনে হয়রানি করেছে। ঘটনাটি প্রকাশিত হওয়ার পরই দুই দেশের কূটনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা বাড়ে।

ভারত সরকারের প্রতিক্রিয়া খুবই কঠোর। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অরুণাচল প্রদেশ ভারতের “অবিচ্ছেদ্য ও অভেদ্য” অংশ এবং ইতিহাস, নথি, প্রশাসন—সবক্ষেত্রেই এ অঞ্চল নিয়ে ভারতের সার্বভৌমত্ব প্রশ্নাতীত। দিল্লির বক্তব্য—চীনের ধারাবাহিক দাবি আন্তর্জাতিক আইন, বাস্তব প্রশাসন ও জনগণের ইচ্ছার সঙ্গে সম্পূর্ণ অসংগত। শুধু দাবির ভিত্তিতে ভূখণ্ডের মালিকানা বদলে যায় না।

বিশ্লেষকরা বলছেন, চীন-ভারত সীমান্ত উত্তেজনা দীর্ঘদিনের হলেও শাংহাই বিমানবন্দরের ঘটনাকে সামনে এনে বেইজিং যে ভাষায় অরুণাচলের অস্তিত্ব অস্বীকার করেছে, তা ভবিষ্যতে আরও কূটনৈতিক টানাপোড়েন সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষত, লাদাখ—তাওয়াাং—ম্যাকমোহন লাইন—এই সংবেদনশীল সীমান্ত এলাকাগুলোতে চীনের অবস্থান অনেক দিন ধরেই আক্রমণাত্মক। ভারতের পক্ষ থেকে জবাবও আসছে কঠোর ভাষায়—সীমান্ত রাজনীতি নয়, বাস্তবতা হলো অরুণাচল প্রদেশ একটি রাজ্য, যেটি ভারতের সাংবিধানিক কাঠামোর অংশ।

উত্তেজনা বাড়লেও, দুই দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিক বৈঠক চালু রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতার কারণে আলোচনার পথ বন্ধ হবে না; তবে চীনের নতুন মন্তব্য উভয় দেশের মধ্যে সীমান্ত ইস্যুকে আরও সংবেদনশীল করে তুলেছে।

সূত্রঃ স্যোশাল মিডিয়া

এম.কে

আরো পড়ুন

ইটালি এবং ফ্রান্স সীমান্তে সক্রিয় মানবপাচার চক্র

তুরস্কের প্রশিক্ষিত ইমামদের আর নেবে না জার্মানি

যৌন নিপীড়নের শিকার পুরুষদের জন্য হটলাইন চালু জাপানে