AI এখন আর শুধু সহায়ক নয়, অনেক ক্ষেত্রে মানুষের কাজ পুরোপুরি প্রতিস্থাপন করছে। বড় বড় কোম্পানি যেমন Klarna, Microsoft ও Amazon ইতিমধ্যেই কর্মী ছাঁটাই করে চ্যাটবট ব্যবহার শুরু করেছে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন লেখক, সাংবাদিক ও প্রযোজকরা।
৩৮ বছর বয়সী ব্রিটিশ লেখক জো টার্নার গত দুই বছরে তাঁর ৭০% ক্লায়েন্ট হারিয়েছেন AI-এর কাছে। আগে ছয় অঙ্কের আয় করা এই ফ্রিল্যান্সার এখন বছরে £১২০,০০০ কম আয়ে ভুগছেন। তিনি বলেন, “এটা এক ধরনের বিশ্বাসঘাতকতা—একটা যন্ত্র আমার জায়গা নিয়েছে।”
Microsoft-এর গবেষণা অনুযায়ী, লেখালেখির ৮৫% কাজ, সাংবাদিকতা ও কোডিংয়ের ৮০% কাজ এখন AI করতে সক্ষম। একই সময়ে Klarna ৪০% কর্মী ছাঁটাই করে জানিয়েছে, তাদের চ্যাটবট ৭০০ কর্মীর সমান কাজ করছে। Microsoft ছাঁটাই করেছে ১৫,০০০ কর্মী, আর Amazon স্বীকার করেছে—AI ব্যবহারে কর্মী সংখ্যা কমছে।
তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রযুক্তি যেমন কিছু কাজ কেড়ে নিচ্ছে, তেমনি নতুন সুযোগও তৈরি করছে। ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক জিনরং ঝু বলেন, “আমরা এক টার্নিং পয়েন্টে আছি—AI আগামী কয়েক বছরে শ্রমবাজার বদলে দেবে।”
অক্সফোর্ডের অর্থনীতিবিদ ড. ফ্যাবিয়ান স্টেফানি মনে করেন, “AI চাকরি পুরোপুরি ধ্বংস করবে না, বরং নতুন ধরণের কাজ তৈরি করবে।” বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের তথ্যে দেখা যায়, ৪৫% নিয়োগকর্তা এখন AI দক্ষতাকে মৌলিক দক্ষতা হিসেবে দেখছেন, আর AI-সম্পর্কিত চাকরির বেতন গড়ে ২৩% বেশি।
তবুও জো টার্নারের মতো অনেকেই হতাশ। তিনি বলেন, “AI শব্দ সাজাতে পারে, কিন্তু আত্মা নেই। এটা কখনও মানুষের সৃজনশীলতা প্রতিস্থাপন করতে পারবে না।”
সূত্রঃ স্কাই নিউজ
এম.কে
১১ অক্টোবর ২০২৫