TV3 BANGLA
বাংলাদেশ

জমির খাজনা দিন ঘরে বসেই, পুরো প্রক্রিয়া অনলাইনে

ডিজিটাল বাংলাদেশের কল্যাণে এখন ঘরে বসেই যে কেউ জমির খাজনা পরিশোধ করতে পারবেন। ভূমি মন্ত্রণালয়ের অনলাইন সেবার মাধ্যমে নাগরিকরা খুব সহজে ভূমি উন্নয়ন কর (খাজনা) দিতে পারছেন। খাজনা পরিশোধের পর দাতাকে একটি দাখিলা রসিদ দেওয়া হয়। এই রসিদটি তার জমির মালিকানার প্রমাণ, নামজারি এবং জমি কেনাবেচার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দলিল।

ঘরে বসে অনলাইনে জমির খাজনা দেওয়ার পদ্ধতিটি বেশ সহজ এবং সময় সাশ্রয়ী। চলুন জেনে নিই কীভাবে অনলাইনে জমির খাজনা পরিশোধ করা যায়—

নাগরিক লগইনঃ

প্রথমে ব্রাউজার খুলে https://land.gov.bd/ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন।
লগইন অপশনে গিয়ে নিবন্ধিত মোবাইল নম্বর/ই-মেইল ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন। আর নিবন্ধন না করলে আগে নিবন্ধন করে নিন।

ভূমি উন্নয়ন কর সিস্টেমে প্রবেশঃ

লগইন করার পর ড্যাশবোর্ড থেকে ‘ভূমি উন্নয়ন কর’ অপশনে ক্লিক করুন। এখানে আপনি আপনার হোল্ডিং, দাখিলা ও দাবির তথ্য দেখতে পাবেন।

খতিয়ান আবেদনঃ

‘খতিয়ান’ অপশনে গিয়ে নতুন খতিয়ান তথ্য দিয়ে আবেদন করুন। যদি আপনি উত্তরাধিকার হন তাহলে মালিকানা ধরন হিসেবে ‘উত্তরাধিকার মালিকানা’ বেছে নিন এবং ওয়ারিশদের তথ্য দিন।

হোল্ডিং তালিকা ও অনলাইন পেমেন্টঃ

‘হোল্ডিং তালিকা’ অপশন থেকে এনআইডির মাধ্যমে নিবন্ধিত জমির তালিকা দেখতে পারবেন। পছন্দের হোল্ডিংয়ের বিস্তারিত অপশনে গিয়ে ‘অনলাইন পেমেন্ট’ বাটনে ক্লিক করে খাজনা পরিশোধ করুন। পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে বিকাশ, নগদ বা ব্যাংক কার্ড ব্যবহার করে পেমেন্ট সম্পন্ন করা যাবে।

দাখিলা রসিদঃ

পেমেন্ট সম্পন্ন হলে ‘দাখিলা’ অপশনে গিয়ে পেমেন্ট করা হোল্ডিংয়ের দাখিলা রসিদ ডাউনলোড করতে পারবেন। রসিদের বিস্তারিত দেখতে চাইলে ‘বিবরণ’ বাটনে ক্লিক করুন।

চালান যাচাই ও ব্যাংক পেমেন্টঃ

ই-পেমেন্টে না গিয়ে ব্যাংকের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে চাইলে ‘চালান যাচাই’ অপশন থেকে ট্র্যাকিং নম্বর সংগ্রহ করে ব্যাংকে জমা দিন। পেমেন্ট হওয়ার পর সেই ট্র্যাকিং নম্বর ব্যবহার করে চালান যাচাই করলে রসিদ চলে আসবে।

অতিরিক্ত সুবিধাঃ

হোল্ডিং ট্রিঃ হোল্ডিংয়ের বিস্তারিত গঠন দেখতে পারবেন।

ক্যালকুলেটরঃ আপনার জমির এলাকাভেদে খাজনা হিসাব করতে পারবেন।

পেমেন্ট রিকনসিলিয়েশনঃ ভুল বা আটকে থাকা পেমেন্ট পুনরায় যাচাই করে দাখিলা পাবেন।

প্রতিনিধি পেমেন্টঃ অন্যের পক্ষে অনুমোদন নিয়ে পেমেন্ট করা যাবে।

আপত্তি: কোনো তথ্য ভুল থাকলে অনলাইনেই আপত্তির আবেদন করা যাবে এবং তার প্রতিক্রিয়াও দেখা যাবে।

মালিকানাধীন জমির হোল্ডিং নিবন্ধন প্রক্রিয়ার কাগজপত্রাদি

১. সচল মোবাইল নম্বর
২. জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর
৩. জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী জন্ম তারিখ
৪. দাখিলা/খারিজ খতিয়ানের তথ্য

ডিজিটাল ভূমি সেবা ব্যবহারে সময় বাঁচে, হয়রানি কমে এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত হয়। তাই আজই রেজিস্ট্রেশন করে ঘরে বসেই খাজনা পরিশোধ করুন এবং জমির দাখিলা সংগ্রহ করুন।

এম.কে
২০ জুলাই ২০২৫

আরো পড়ুন

জিএম কাদের ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ

ভারত থেকে আসছেন না চিন্ময়ের আইনজীবী, মোদিকে দেওয়া চিঠি উত্তর পাননি রবীন্দ্র

ভারতের কাছে দুই বিষয়ে ব্যাখ্যা চাইলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ