15.5 C
London
November 24, 2024
TV3 BANGLA
আমেরিকাশীর্ষ খবর

“ফেসবুককে পতনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে জাকারবার্গের অদক্ষ নেতৃত্ব”

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক মানুষের পছন্দের শীর্ষে ওঠার পেছনে যিনি কাজ করেছেন গেছেন, তার নাম মার্ক জাকারবার্গ। অথচ তিনিই নাকি এখন ফেসবুকের পতন ডেকে আনছেন। এ দাবি করেছেন, হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলের সিনিয়র ফেলো বিল জর্জ।

 

জর্জের দাবি, ফেসবুকের অধঃপতনের কারণ জাকারবার্গের অদক্ষ নেতৃত্ব। তিনি দিন দিন ফেসবুককে আসল পথ থেকে অন্য দিকে নিয়ে যাচ্ছেন।

 

সংবাদমাধ্যম সিএনবিসিকে বিল জর্জের বলেন, “আমি মনে করি তিনি (জাকারবার্গ) যতদিন আছেন, ততদিন ফেসবুক ভালো কিছু করতে পারবে না। এই প্রতিষ্ঠানটি থেকে মানুষ দূরে সরে যাওয়ার অন্যতম কারণ জাকারবার্গ। তিনি সত্যিই পথ হারিয়ে ফেলেছেন।”

 

গত ২০ বছর যাবত কর্মক্ষেত্রে নেতৃত্বদানে ব্যর্থতার বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করে চলেছেন বিল জর্জ। সম্প্রতি নিজের কাজগুলোকে একত্রিত করে ‘ট্রু নর্থ: লিডিং অথেনটিক্যালি ইন টুডে’স ওয়ার্কপ্লেস, এমার্জিং লিডার এডিশন’ নামক একটি বই প্রকাশ করেছেন জর্জ।

জর্জের ভাষ্যে, যারা টাকা ও ক্ষমতার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিশ্বাস, মূল্যবোধ ও নেতা হওয়ার উদ্দেশ্যটিই ভুলে যায়, তাদের পতন অবশ্যম্ভাবী। দুই দশক ধরে অসংখ্য হাই-প্রোফাইল কর্পোরেট নেতার অধঃপতন দেখে এবং বিষয়গুলো নিয়ে গবেষণার পরে জর্জ মনে করেন, মার্ক জাকারবার্গ এবং তার প্রতিষ্ঠান ‘মেটা’ও বর্তমানে সেই একই পথে রয়েছে।

 

তার মতে, পতনের অন্যমত কারণ জাকারবার্গ অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপান। তিনি নিজের ভুল স্বীকার করেন না। ভুল থেকে শিক্ষাও নেন না।

 

দ্বিতীয় কারণ, জাকার্বাগ অন্য কারও উপদেশ নেন না। তিনি একাই সবকিছু করতে চান। কারও সাথে সম্পর্কও গড়েন না ফেসবুকের সিইও। কেউ আগ্রহী হলে তাকে দূরে সরিয়ে দেন।

 

তৃতীয় কারণ হিসেবে জর্জ বলেন, জাকারবার্গ শুধু খ্যাতি-সম্পদ চান। এর পেছনেই ছুটছেন। জাকারবার্গ মেটার প্রসার ও লাভের দিকেই শুধু গুরুত্ব দিয়েছেন। কোটি কোটি ব্যবহারকারীর স্বার্থের বিনিময়ে হলেও তিনি এটি করেছেন। জাকারবার্গ তার প্রতিষ্ঠানের আয়, সম্পদ লাভ ছাড়া কিছু বোঝেন না বলেও মন্তব্য করেছেন জর্জ। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত মার্ক জাকারবার্গ কোনো মন্তব্য করেননি।

 

১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২
নিউজ ডেস্ক

আরো পড়ুন

গাড়ি চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটিয়ে টরি এমপি গ্রেফতার

অনলাইন ডেস্ক

কাবুলে সস্তায় বিক্রি হচ্ছে বাড়ি

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নকল ওয়েবসাইট!