যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের ৭৮তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দিচ্ছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। সেইসময় জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের দূত গিলাদ এরদান একাই ইরানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করেন। এর জেরে তাকে অধিবেশন কক্ষ থেকে বাইরে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, জাতিসংঘের নিরাপত্তা বাহিনী ওই ইসরায়েলি দূতকে আটক করেছে এবং অধিবেশন কক্ষ থেকে বের করে নিয়ে যাচ্ছে।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইব্রাহিম রাইসির বক্তৃতা দেওয়ার সময় গিলাদ এরদান একটি ব্যানার তুলে ধরেন। তাতে লেখা, ইরানি নারীরা স্বাধীনতা ভোগের যোগ্য।
ইরদান এক বিবৃতিতে বলেছেন, যখন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ভাষণ দেওয়া শুরু করেন, আমি মাশা আমিনির একটি ছবি তুলে ধরি। এই মাশা আমিনিকে এক বছর আগে ঠিকমতো হিজাব না পরার কারণে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
বিবৃতিতে ইসরায়েলি দূত আরও বলেছেন, আমি সত্য এবং জাতিসংঘের নৈতিক বিকৃতির প্রকাশ তুলে ধরতে লড়াই কখনো বন্ধ করব না।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে ঠিকমতো হিজাব না পরার কারণে ইরানের নীতি পুলিশের কাছে গ্রেপ্তার জন আমিনি। এর কয়েক দিনের মধ্যে পুলিশি হেফাজতে আমিনির মৃত্যু হয়। পরিবারের দাবি ছিল, পুলিশি নির্যাতনে আমিনির মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু ইরান সরকার ও দেশটির পুলিশ এ অভিযোগ উড়িয়ে দেয়।
এর জেরে ইরানজুড়ে কয়েক মাস ধরে চলছে ব্যাপক বিক্ষোভ। এতে কয়েক শ বিক্ষোভকারী ইরানের নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহত হন বলে অভিযোগ করে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর ছিল আমিনির প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী। এদিন আমিনির বাবাকেও গ্রেপ্তার করে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী।
এম.কে
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩