জালিয়াতির খরচ বিষয়ে একটি অসম্পূর্ণ ও সেকেলে ধারণা নিয়ে চলছে যুক্তরাজ্যের হোম অফিস। প্রকৃত অপরাধী সনাক্তের বিষয়েও এর দুর্বলতা রয়েছে। একটি পাবলিক স্পেন্ডিং ওয়াচডগের অনুসন্ধানে এমনটিই দেখা গেছে।
ন্যাশনাল অডিট অফিস (এনএও) বলেছে, সরকার যে ডেটা এবং দামের উপর ভিত্তি করে ব্যক্তিদের প্রতারণার খরচ অনুমান করে তা ছয় বছরের পুরনো।
সংস্থাটি দেখেছে, ব্যবসার প্রতারণার খরচ বা অপরাধ মোকাবেলায় সংস্থাগুলি কতটা ব্যয় করে তার কোনও নির্ভরযোগ্য অনুমান ছিল না হোম অফিসের কাছে।
২০২২ সালের জুন পর্যন্ত মোট অপরাধের ৪১% ছিল জালিয়াতি। এওই সময়ে ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে পুলিশ ৯ লাখ ৮৭ হাজার প্রতারণার অপরাধ রেকর্ড করেছে।
যদিও, জালিয়াতির মামলাগুলির খুব কমই ক্রিমিনাল চার্জ বা আদালত পর্যন্ত গড়ায়। ২০২২ সালের মার্চ পর্যন্ত এইরকম কেসের সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ৮১৬।
এনএও’র রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রতারণার খরচ সম্পর্কে আপ-টু-ডেট অনুমান নেই হোম অফিসের।
ব্যক্তির ক্ষেত্রে জালিয়াতির খরচ ধরা হয়েছে ৪.৭ বিলিয়ন পাউন্ড। এটি ২০১৫-১৬ সালের তথ্যের উপর ভিত্তি করে নির্ধারিত।
এনএও আরও দেখেছে যে ব্যবসা বা পাবলিক সেক্টরে জালিয়াতি মোকাবেলায় কী ব্যয় করা হচ্ছে তার সম্পূর্ণ চিত্র হোম অফিসের কাছে নেই।
এছাড়াও কিছু জালিয়াতি বিরোধী পরিকল্পনা নিয়ে সরকার এবং বেসরকারি খাতের মধ্যে বিভ্রান্তি রয়েছে।
এনএও সুপারিশ করে যে হোম অফিসের উচিত যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তার জালিয়াতি বিরোধী কৌশল তৈরির পর তা প্রকাশ করা, ব্যক্তি এবং ব্যবসার খরচের আপ-টু-ডেট অনুমান পাওয়া এবং জালিয়াতি মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক কৌশল রফত করা।
১৬ নভেম্বর ২০২২
এনএইচ
সূত্র: গার্ডিয়ান