ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রধান ফটকের সামনে থেকে পুলিশের চোখে স্প্রে করে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জেএমবির দুই সদস্যকে ছিনিয়ে নিয়ে গেছেন তাদের সহযোগীরা। রোববার দুপুরের দিকে এই ঘটনা ঘটে। এরপর পলাতক দুই জঙ্গিকে ধরিয়ে দিতে পারলে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে সরকার।
পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, আদালত থেকে পালিয়ে যাওয়া দুই জঙ্গি সদস্যকে ধরিয়ে দিলে প্রত্যেকের জন্য ১০ লাখ টাকা করে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ পুলিশ।
এর আগে দুই জঙ্গি পালানোর সহযোগিতায় জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলেও জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, এ ঘটনাটি দুঃখজনক বলে আমরা মনে করি। যদি কারো অবহেলা থাকে, যদি কারো গাফিলতি থাকে, যদি কেউ ইচ্ছে করে এ কাজটি ঘটিয়ে থাকেন আমরা তার উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। নিশ্চয়ই এটার তদন্ত কমিটি আমরা করবো এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবো।
তিনি বলেন, ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে আমরা রেড এলার্ট জারি করেছি। যাতে তারা দেশ থেকে পালিয়ে যেতে না পারে। আমাদের পুলিশ তাদের খুঁজছে। আশা করি খুব শিগগিরই তাদের ধরতে পারবো। আমরা বর্ডার এলাকাগুলোতেও বলে দিয়েছি, তারা যেন পালিয়ে যেতে না পারে।
পালিয়ে যাওয়া দুই জঙ্গি- মইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত সামির ও মো. আবু ছিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় এবং লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত।
একটি মামলায় শুনানি শেষে আদালত থেকে হাজত খানায় নেওয়ার পথে দুই জঙ্গির সহযোগীরা হাজতখানা পুলিশের চোখে স্প্রে ছিটিয়ে, কিল ঘুষি মেরে দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেয়। এরপর তারা দুটি মোটরসাইকেলে করে রায়সাহেব বাজারের মোড়ের দিকে পালিয়ে যায়।
মইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত সামিরের বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার মাধবপুর গ্রামে। মো. আবু ছিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিবের বাড়ি লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার ভেটেশ্বর গ্রামে।
এর আগে এদের ধরিয়ে দিতে পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল পুলিশ। মইনুল হাসান শামীম ও মো. আবু ছিদ্দিক সোহেল একাধিক মামলার আসামি।
এনএইচ