12.6 C
London
October 4, 2025
TV3 BANGLA
আন্তর্জাতিকযুক্তরাজ্য (UK)

টনি ব্লেয়ার গাজার অন্তর্বর্তী সরকারে প্রধান হওয়ার প্রস্তাবনায়

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং লেবার পার্টির সাবেক নেতা টনি ব্লেয়ারের নাম গাজা উপত্যকার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে আলোচনায় রয়েছে। এই প্রস্তাবের লক্ষ্য হলো যুদ্ধ-পরবর্তী গাজার পরিস্থিতি স্থিতিশীল করা এবং স্থানীয় প্রশাসনের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আগে আন্তর্জাতিক অন্তর্বর্তী সরকারের মাধ্যমে পরিচালনা নিশ্চিত করা।

 

প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে, জাতিসংঘ ও উপসাগরীয় দেশগুলোর সমর্থন নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এই সরকার গাজার স্বাভাবিক পরিস্থিতি স্থিতি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবে এবং টনি ব্লেয়ারকে এর প্রধান হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ব্লেয়ারের কার্যালয় জানিয়েছে, তিনি গাজার জনগণকে বাস্তুচ্যুত করার কোনো ভাবনাকে সমর্থন করেন না। তবে, এই প্রস্তাবের মাধ্যমে গাজার পুনর্গঠন ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার দায়িত্ব তার ওপর আনা হতে পারে।

২০০৩ সালে গণবিধ্বংসী অস্ত্র থাকার অভিযোগে ইরাকের সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যকে যুদ্ধের পথে নেতৃত্ব দেওয়ায় বিশ্বব্যাপী টনি ব্লেয়ারের ব্যাপক সমালোচনা হয়েছিল। পরবর্তীতে দেখা যায়, সেই অস্ত্রের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

২০০৭ সালে প্রধানমন্ত্রীত্ব ছাড়ার পর ব্লেয়ারকে যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ, রাশিয়া ও জাতিসংঘের পক্ষ থেকে মধ্যপ্রাচ্য দূত হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি ফিলিস্তিনের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও দুই-রাষ্ট্র সমাধানের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন।

গত আগস্টে তিনি হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে গাজা নিয়ে বৈঠক করেন। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ সেই আলোচনাকে “খুব বিস্তৃত” হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তবে বৈঠকের কম অংশই প্রকাশ্যে এসেছে।

বিবিসি ও দ্য ইকোনমিস্টের তথ্য অনুযায়ী, প্রস্তাবে টনি ব্লেয়ারকে গাজা ইন্টারন্যাশনাল ট্রানজিশনাল অথরিটির (GITA) প্রধান হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। জাতিসংঘের অনুমোদন নিয়ে পাঁচ বছরের জন্য গাজার সর্বোচ্চ রাজনৈতিক ও আইনগত কর্তৃপক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করার কথাও বলা হয়েছে।

এর আগে আন্তর্জাতিক প্রশাসনের মাধ্যমে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার পূর্ব তিমুর এবং পূর্ব ইউরোপের কসোভো স্বাধীনতা পেয়েছিল। গাজার অন্তর্বর্তী সরকার প্রাথমিকভাবে মিশর থেকে কাজ করবে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সেখানে স্থানান্তরিত হবে। তাদের সঙ্গে বহুজাতিক বাহিনীও থাকবে।

গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্য আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ফ্রান্স, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ আরও কয়েকটি দেশও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের রক্তক্ষয়ী হামলার পর শুরু হওয়া গাজা যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৬৫ হাজারের বেশি মানুষ নিহত, যার মধ্যে শিশু ও নারী সংখ্যাও বেশি।

সূত্রঃ রয়টার্স / এপি / বিবিসি

এম.কে
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আরো পড়ুন

মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমসিম খাচ্ছে কনজারভেটিভ সরকার

পাবলিক ফান্ড ব্যবহারের শর্ত পরিবর্তন বা অপসারণের আবেদন কীভাবে করবেন?

নিউজ ডেস্ক

ইংলিশ চ্যানেলে আবারো মৃত্যু, বিবাদে ইউকে-ফ্রান্স