7.1 C
London
January 16, 2025
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

টিউলিপকে বাঁচাতে গিয়ে কি ফাঁসতে যাচ্ছেন কেয়ার স্টারমার!

যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে তুমুল হালচাল মাচিয়েছে বর্তমান লেবার সরকারের একজন মন্ত্রীর দূর্নীতির খবর। যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারের দুদক তদন্ত করছে যা ব্রিটেনের রাজনীতিতে কালিমা লেপন করেছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।

যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগে যখন ব্রিটিশ মিডিয়া ফাঁস করে দেয় তখন মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগ দাবি করেন ক্ষমতাসীন দলের অনেক নেতা এবং বিরোধী কনজারভেটিভ দলের কিছু এমপি। কিন্তু টিউলিপ ক্ষমতা ধরে রাখেন।

এ নিয়েও অভিযোগ ওঠে। বলা হয়, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার হলেন টিউলিপের ক্ষমতার খুঁটি। টিউলিপ সিদ্দিক অবশ্য আত্মপক্ষ সমর্থন করেন। তিনি নিরপেক্ষ তদন্তকারী লরা ম্যাগনাসের কাছে এই আত্মপক্ষ সমর্থন করেন। টিউলিপের বিরুদ্ধে যখন তীব্র চাপ, প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমারের বিরুদ্ধে যখন দুর্নীতিকে সমর্থন দেয়ার অভিযোগ জোরালো হতে থাকে, ব্রিটেনের রাজনীতি উত্তাল হতে শুরু করে।

টিউলিপ সিদ্দিককে নিয়ে কিয়ের স্টারমার ক্ষমতার প্রথম ৬ মাসের মধ্যে দু’জন মন্ত্রী হারালেন। গত মাসে পদত্যাগ করেন পরিবহন মন্ত্রী লুইস হাই। তারপর দ্বিতীয় মন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগ করলেন টিউলিপ। ক্ষমতায় আসার প্রথম ৬ মাসের মধ্যেই অনেক স্ক্যান্ডাল বা কেলেঙ্কারি জেঁকে ধরেছে লেবার পার্টি নেতৃত্বাধীন সরকারকে। ফলে স্যার কিয়ের স্টারমার ঐতিহাসিকভাবে একজন নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অজনপ্রিয়তার নিম্নতম স্থানে পৌঁছে গেছেন।

প্রধানমন্ত্রিত্বের ১০০ দিনের আগেই তিনি বরখাস্ত করেছেন নিজের চিফ অব স্টাফ সু গ্রে’কে। লেবার দলের দাতা লর্ড আলির কাছ থেকে অবাধে অর্থ এবং পোশাক নেয়ার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। এর পরিমাণ হাজার হাজার পাউন্ড। এমন অবস্থায় রিফর্ম ইউকে এবং লিবারেল ডেমোক্রেটরা লেবার পার্টিকে বিগত কনজারভেটিভ সরকারের মতোই খারাপ হিসেবে অভিহিত করেছে।

রিফর্মের একজন মুখপাত্র বলেছেন, দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের মধ্যেই পদত্যাগ করতে হয়েছে কিয়ের স্টারমারের দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রীকে। লিবারেল ডেমোক্রেট দলের কেবিনেট অফিসের মুখপাত্র সরাহ ওলনি বলেন, কনজারভেটিভ দলের বছরের পর বছর ধরে কেলেঙ্কারি ও দুর্নীতির পর জনগণ এই সরকারের কাছ থেকে ভালো কিছু আশা করেছিল।

কনজারভেটিভ দলের কেমি বেড্যেনক বলেন, সপ্তাহান্তে এটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল যে, দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রীর পদ পুরোপুরি অক্ষম হয়ে পড়েছে। তবু স্যার কিয়ের স্টারমার তার ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে সুরক্ষিত রাখতে বিচলিত হন এবং বিলম্ব করেন। এখন পর্যন্ত টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে একটি ফৌজদারি মামলা হয়েছে। আসলে দুর্বল নেতৃত্ব থেকে তৈরি হন একজন দুর্বল প্রধানমন্ত্রী।

সূত্রঃ ডেইলি মেইল

এম.কে
১৬ জানুয়ারি ২০২৫

আরো পড়ুন

ইউরোপিয়ানরা চলে যাওয়ায় একাকিত্বে এই স্ট্রিবেরি চাষী

যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কী ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাক?

যুক্তরাজ্যের মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক মন্ত্রীত্ব হারানোর শঙ্কায়

নিউজ ডেস্ক