প্যান্ডোরা পেপারস কেলেঙ্কারির সঙ্গে নতুন করে আলোচনায় উঠে এসেছে কয়েকটি ‘ট্যাক্স হ্যাভেন’ শহর ও দেশের নাম। যেসব দেশ ও শহর বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য করমুক্ত বা নামমাত্র কর দেওয়ার শর্তে কোম্পানি খোলার সুযোগ দেয়, সেগুলো ট্যাক্স হ্যাভেন হিসেবে পরিচিত।
সাধারণত বিনিয়োগকারীদের আয়ের উৎস গোপন করে এসব কোম্পানি পরিচালিত হয় এবং একইভাবে কিছু ব্যাংকিং চ্যানেল গোপনে অর্থ লেনদেন করে থাকে। এ ধরনের কোম্পানি ও ব্যাংককে বলা হয় অফশোর কোম্পানি ও অফশোর ব্যাংক। তবে নিজ নিজ দেশের আইন মেনে পরিচালিত হলে এ ধরনের কোম্পানি বা ব্যাংক বৈধ হিসেবে গণ্য হয়।
অফশোর কোম্পানির সবচেয়ে খারাপ দিক হলো- বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দরিদ্র দেশগুলোর প্রভাবশালীরা তথ্য গোপন করে এসব কোম্পানির মাধ্যমে উন্নত দেশে বৈধ ও অবৈধভাবে অর্থ পাঠিয়ে গোপন সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলে। তবে উন্নত বিশ্বের ধনীরাও এ পথে হাঁটেন। এবার প্যান্ডোরা পেপারসে তেমন নজির সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার ও তার স্ত্রী, জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ, ক্রিকেট কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার প্রমুখ।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি বিশ্বের কয়েকটি ট্যাক্স হ্যাভেন শহর ও দেশের নাম তালিকাভুক্ত করে। সেগুলো হলো-আমেরিকান সামোয়া, আনজুইলা, ডোমিনিকা (নিউ), ফিজি, গুয়াম, পালাও, পানামা, সামোয়া, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, ইউএস ভার্জিন আইল্যান্ড, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড। তবে রোববার প্রকাশিত প্যান্ডোরা পেপারসে ট্যাক্স হ্যাভেন হিসেবে লন্ডন, সুইজারল্যান্ড, ফ্লোরিডা, টেপাসের নামও এসেছে।
৬ অক্টোবর ২০২১
এনএইচ