3.2 C
London
January 19, 2025
TV3 BANGLA
বাংলাদেশ

ট্রাম্পের ওপরই নির্ভর করছে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎঃ নওফেল

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মনোভাবের ওপরই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে বলে দাবি করেছেন হাসিনা সরকারের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এমনটাই দাবি করেছেন তিনি। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করে দ্য হিন্দু।

নওফেল বলেন, ‘বাংলাদেশে আসন্ন কয়েক মাসে অন্তর্বর্তী সরকারের ভবিষ্যৎ অনেকটাই নির্ভর করবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের দৃষ্টিভঙ্গির ওপর। বাংলাদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি অন্যান্য সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলের বিশেষ করে পশ্চিম এশিয়ার ঘটনাবলী থেকে বিচ্ছিন্নভাবে দেখা উচিত নয়।’

তিনি বলেন, ‘ড. ইউনূস হিলারি ক্লিনটনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারে বিনিয়োগ করেছিলেন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের জয়কে গ্রহণের অযোগ্য বলেছিলেন। ট্রাম্প সম্পর্কে তার এই মতামতের কারণে, ট্রাম্প ২০ জানুয়ারি শপথ নেওয়ার পর অন্তর্বর্তী সরকারের উপর কিছু প্রভাব পড়বে বলে আমি নিশ্চিত।’

সাবেক এই শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ যেন ইসলামিক উগ্রপন্থীদের নতুন ঘাঁটি না হয়, যেমন গত এক দশকে সিরিয়া এবং ইরাক ছিল।’ তিনি হিযবুত তাহরির এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সম্প্রসারণ নিয়ে সতর্ক করে দেন।

২০২৪ সালের জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে পরিস্থিতি নাটকীয়ভাবে পাল্টে যায়, যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন সফর শেষে দেশে ফিরে ছাত্র-জনতার নেতৃত্বে তার সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের মুখোমুখি হন। শেখ হাসিনা তাকে ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে আলোচনার দায়িত্ব দেন।

দ্য হিন্দু সূত্রে জানা গেছে, শেখ হাসিনা আগস্টের প্রথম সপ্তাহে ক্ষমতা সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে হস্তান্তরের পরিকল্পনা করেছিলেন এবং সামরিক বাহিনী পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার জন্য লকডাউন নিশ্চিত করছিল।

নওফেল বলেন, ‘আমরা গণভবনে উপস্থিত ছিলাম এবং আন্দোলন সমাধানের উপায় নিয়ে আলোচনা করছিলাম। অনেকেই মনে করতেন যে প্রধানমন্ত্রীর আকস্মিক পদত্যাগ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির পতন ঘটাবে, তাই লকডাউনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল।’

তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যর্থতার জন্য অভিযুক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘উগ্রপন্থী এবং জঙ্গিদের আক্রমণ থেকে সংখ্যালঘু, প্রগতিশীল এবং ধর্মনিরপেক্ষ জনসাধারণকে রক্ষা করতে তার সম্পূর্ণ ব্যর্থতা তাকে সম্পূর্ণরূপে উন্মুক্ত করেছে। ড. ইউনূসের কোনো বৈধতা নেই। তিনি বাংলাদেশের আদর্শিক ভিত্তি, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদকে ঘৃণা করেন।’

তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কারণে গত পাঁচ মাসে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক সংকট এবং শিল্প অস্থিরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ইউনূস সরকার সংবিধানে ব্যাপক পরিবর্তনের পরিকল্পনা করছে, যা ১৯৭২ সালের সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন প্রস্তাব করেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের এরকম মৌলিক পরিবর্তন করার কোনো অধিকার নেই।

সূত্রঃ দ্য হিন্দু।

এম.কে
১৯ জানুয়ারি ২০২৫

আরো পড়ুন

তলিয়ে যেতে পারে সেন্টমার্টিন

অবশেষে সিলেটের শত কোটি টাকার বাড়ির রহস্য উদ্ধার

নির্বাচন কখন হবে সেটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, আমাদের নয়ঃ প্রধান উপদেষ্টা