সপ্তদশ ও অষ্টাদশ শতকে দাস ব্যবসার সঙ্গে ব্রিটিশ রাজপরিবারের সম্পর্ক থাকা নিয়ে একটি স্বাধীন গবেষণায় সব ধরণের সহায়তা করার কথা জানিয়েছে বাকিংহাম প্যালেস।
প্যালেসের পক্ষ থেকে বলা হয়, রাজা চার্লস এ বিষয়টিকে ‘খুবই গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করেছেন’।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম জানায়, ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘হিস্টরিক রয়্যাল প্যালেসেস’ এর উপর গবেষণা হচ্ছে। তার অংশ হিসেবে ব্রিটিশ রাজপরিবারের উপরও গবেষণা হবে।
ওই গবেষণায় সহায়তা করতে গবেষকদের রয়্যাল আর্কাইভ ও রয়্যাল কালেকশনে প্রবেশের পূর্ণ অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বাকিংহাম প্যালেস।
ইতিহাসবিদ ক্যামিলা ডে কোনিং একটি পিএইচডি প্রকল্পের অংশ হিসেবে ব্রিটিশ রাজপরিবারের দাস ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা নিয়ে এই গবেষণা করছেন, যা ২০২৬ সাল নাগাদ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রাজা চার্লস এবং প্রিন্স অব ওয়েলস উইলিয়াম উভয়ই এর আগে দাস ব্যবসার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের যে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে তার জন্য ব্যক্তিগতভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
গত বছর রুয়ান্ডা সফরের সময় রাজা চার্লস বলেছিলেন, দাস ব্যবসার কারণে সৃষ্ট দুর্ভোগের কথা মনে হলে তিনি ‘কতটা গভীরভাবে মর্মাহত হন’ তা তিনি ভাষায় প্রকাশ করতে পারবেন না।
আর গত বসন্তে জ্যামাইকা সফরের সময় প্রিন্স উলিয়াম বলেছিলেন, ‘‘দাসপ্রথা ছিল ঘৃণ্য।কখনোই এমনটা হওয়া উচিত ছিল না এবং আমাদের ইতিহাসে এটি চিরকাল কলঙ্ক হয়ে থাকবে।”
ব্রিটিশ সিংহাসনের দায়িত্ব গ্রহণের পর রাজা চার্লস দাসপ্রথার প্রভাব সম্পর্কে তার জ্ঞানের পরিধি ও জানাশোনা আরো গভীর করতে ‘দৃঢ় ও তথ্যসমৃদ্ধ’ হওয়ার যে প্রতিজ্ঞা করেছেন তা অব্যাহত রাখতে চান বলে জানিয়েছেন বাকিংহাম প্যালেসের এক মুখপাত্র।
তিনি বলেছেন, ‘‘এটা এমন একটি বিষয় যা মহামান্য রাজা খুবই গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছেন। সমস্যাগুলির জটিলতার পরিপ্রেক্ষিতেই যতটা সম্ভব পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে সেগুলি অন্বেষণ করা গুরুত্বপূর্ণ৷”
অতীতে প্রকাশ পায়নি এমন একটি নথির ভিত্তিতে সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
তাতে বলা হয়েছে, ১৬৮৯ সালে রয়্যাল আফ্রিকান কোম্পানির দাস ব্যবসায়ী এডওয়ার্ড কলস্টন এবং কোম্পানির ডেপুটি গভর্নর ব্যবসার লাভের অংশ রাজা তৃতীয় উইলিয়ামের কাছে হস্তান্তর করেছেন।
এরপরই বাকিংহাম প্যালেস থেকে এ ঘোষণা এল।
চার্লস রাজা হওয়ার পর এই ঘোষণাও দিয়েছেন, কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলো সাংবিধানিক রাজতন্ত্র থাকবে নাকি গণপ্রজাতন্ত্রী রাষ্ট্রে পরিণত হবে সে সিদ্ধান্ত তাদের নিজেদেরই গ্রহণ করা উচিত।
তিনি বলেন, “আমি কমনওয়েলথ সংস্থার শেকড় সম্পর্কে সচেতন আছি। যা আমাদের ইতিহাসরে সবচেয়ে বেদনাদায়ক সময়ের গভীরে চলে গেছে। আমি স্বীকার করছি, অতীতে যে ভুলগুলো হয়েছে সেগুলো নিয়ে কথা বলার সময় এসেছে।”
উল্লেখ্য যে যুক্তরাজ্যসহ বর্তমানে ১৪টি কমনওয়েলথ রাষ্ট্র রয়েছে, যেগুলোর প্রধান রাজা চা