ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো বলছেন, ‘দুই বছর পরপর বিশ্বকাপ হলে সমুদ্রপথে ইউরোপে যাওয়ার পথে প্রাণ হারানোর ঘটনা থামানো সম্ভব!’
বুধবার (২৬ জানুয়ারি) আবারও ১৮ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যুর খবর জানিয়েছে স্পেন। এই অভিবাসনপ্রত্যাশীদের লক্ষ্য ছিল স্পেনের মূল ভূখণ্ড থেকে দূরের ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জ। আটলান্টিক মহাসাগরে অবস্থিত আফ্রিকার নিকটবর্তী এই দ্বীপপুঞ্জে যাওয়ার চেষ্টারত তিন শতাধিক মানুষকে বিভিন্ন নৌকা থেকে উদ্ধার করেছে স্পেন কর্তৃপক্ষ।
তারা যাত্রা শুরু করেছিলেন উত্তর আফ্রিকা থেকে। কিছুদিন পরপরই খোলা সাগরের জন্য অনুপযুক্ত নৌকায় চরে আফ্রিকা থেকে ইউরোপে পাড়ি জমানোর আশায় মৃত্যুর খবর ধাক্কা দেয় সবাইকে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে ফিফার সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই আর্থিক দিকে নজর দিয়েছেন ইনফান্তিনো। সেই সঙ্গে ইউরোপিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের (উয়েফা) ক্ষমতা খর্ব করে পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন এই সুইস ফিফা কর্মকর্তা। দুই লক্ষ্য একসঙ্গে অর্জনের উদ্দেশ্যে ৩২ দলের ফুটবল বিশ্বকাপকে ৪৮ দলের করা হয়েছে।
এবার চেষ্টা চালাচ্ছেন দুই বছর পরপর বিশ্বকাপ আয়োজনের। এতে ফিফার অপেক্ষাকৃত দুর্বল সদস্য দেশগুলো যেন আগ্রহী হয়ে পক্ষে ভোট দেয় সেটা নিশ্চিত করতে, বড় অঙ্কের প্রলোভন দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে, এই প্রস্তাবের ফলে ৪ বছরে অন্তত ২ কোটি ৫০ লাখ ডলার (২১৪ কোটি ২৮ লাখ টাকা) পাবে সব ফেডারেশন!
ফুটবলের সবচেয়ে সফল দুটি অঞ্চল—ইউরোপ ও দক্ষিণ আমেরিকা এই প্রস্তাবে রাজি নয়। এরই মধ্যে বিশ্বকাপ বয়কটের হুমকি দিয়ে রেখেছে দুই ফেডারেশন। তারকা ফুটবলাররা বাড়তি টুর্নামেন্টের ফলে নানা সম্ভাব্য ক্ষতির কথা তুলে ধরছেন সুযোগ পেলেই।
এ অবস্থায় বুধবার (২৬ জানুয়ারি) ফ্রান্সের স্ত্রাসবুরে ইউরোপীয় কাউন্সিলের সংসদীয় পরিষদের সামনে নিজের নতুন যুক্তি তুলে ধরেছেন ইনফান্তিনো। ইউরোপিয়ান আইনপ্রণেতাদের সামনে বলেছেন কতিপয় মানুষ ফুটবল নিয়ন্ত্রণ করছে, তারাই সব পাচ্ছে। ফুটবলকে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দিতে চাচ্ছেন ইনফান্তিনো। এভাবে সবকিছু ছড়িয়ে দিতে পারলেই অভিবাসন সমস্যা দূর হবে বলে মনে করেন ফিফা সভাপতি, ‘পুরো বিশ্বকে সঙ্গী করার উপায় খুঁজতে হবে আমাদের। আফ্রিকানদের আশা জোগাতে হবে, যেন তারা ভালো জীবনের আশায় ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে মৃত্যুবরণ না করে।’
২৭ জানুয়ারি ২০২২
এনএইচ