গত ৫০ বছর ধরে দৈনিক ২.৮ বিলিয়ন ডলার মুনাফা জমা করেছে তেল ও গ্যাস শিল্প, নতুন একটি বিশ্লেষণে এই তথ্য জানা গেছে।
বিশ্লেষণে বলা হয়, ১৯৭০ সাল থেকে পেট্রোস্টেট এবং জীবাশ্ম জ্বালানী সংস্থাগুলি ৫২ ট্রিলিয়ন ডলার মুনাফা করেছে যা বিশ্বের প্রতিটি রাজনীতিবিদ বা সিস্টেমকে কেনার স্বামর্থ রাখে এবং জলবায়ু সংকট মোকাবেলা বিলম্ব করতে পারে। বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে সরবরাহ সীমিত করে মুনাফার অংক আরও বাড়ানো হয়।
বিশ্ব ব্যাংকের তথ্য নিয়ে এই বিশ্লেষণটি করেন অধ্যাপক অ্যাভিয়েল ভারব্রুগেন। গবেষণাটি এখনও কোনো একাডেমিক জার্নালে প্রকাশিত হয়নি তবে ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন, লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্স এবং থিঙ্কট্যাঙ্ক কার্বন ট্র্যাকারের তিনজন বিশেষজ্ঞ বিশ্লেষণটিকে সঠিক বলে নিশ্চিত করেছেন।
জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর ফলে নির্গত কার্বন জলবায়ু সংকটকে চালিত করেছে এবং আবহাওয়ার চরম অবনতি ঘটাতে অবদান রেখেছে। সম্প্রতি যুক্তরাজ্য এবং উত্তর গোলার্ধের দেশগুলিতে তীব্র তাপপ্রবাহ আঘাত করছে। এদিকে তেল কোম্পানিগুলো কয়েক দশক ধরে জানে যে কার্বন নির্গমন বিপজ্জনকভাবে গ্রহকে উত্তপ্ত করে চলেছে।
বেলজিয়ামের অ্যান্টওয়ার্প বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন জ্বালানি ও পরিবেশ অর্থনীতিবিদ এবং জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত একটি আন্তঃসরকারি প্যানেলের প্রাক্তন প্রধান লেখক ভারব্রুগেন বলেন, “এই বিশাল পরিমাণের মুনাফা দেখে আমি সত্যিই অবাক হয়েছিলাম।
তিনি বলেন, “এটি একটি বিশাল পরিমাণ অর্থ। আপনি এই সমস্ত অর্থ দিয়ে প্রতিটি রাজনীতিবিদ, প্রতিটি সিস্টেম কিনতে পারেন এবং আমি মনে করি এটি ঘটেছে। এটা উৎপাদকদের রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ থেকে রক্ষা করে যা তাদের কার্যক্রম সীমিত করতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, ১৯৭০ সাল থেকে তাদের গড় বার্ষিক মুনাফা এক ট্রিলিয়ন ডলার। ২০২২ সালে এই মুনাফা দ্বিগুণ হবে আশা করছি। তারা বিশ্বের এক শতাংশ সম্পদ দখল করে রেখেছে। অথচ এই পৃথিবীর জন্য কিছুই করছে না।
২৩ জুলাই ২০২২
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
এনএইচ