অন্তর্বর্তী সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কৃষি খাতকে দখলে নিতে চাইছে। তার দাবি, আমেরিকা জেনেটিক্যালি মোডিফায়েড অর্গানিজম (জিএমও) প্রযুক্তি কৃষিতে ঢুকিয়ে দেবে এবং এর মাধ্যমে বড় বড় কোম্পানি বাংলাদেশে প্রবেশ করবে।
বুধবার (১৩ আগস্ট) ঢাকায় জাতীয় প্রেস ইনস্টিটিউটে নাগরিক উদ্যোগ ও পিপলস হেলথ মুভমেন্ট আয়োজিত মতবিনিময় সভায় ফরিদা আখতার বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিভিন্ন আলোচনায় স্পষ্ট হয়েছে যে তারা জিএমও আনার ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তিনি উল্লেখ করেন, ব্রাজিল ও জাপান আলোচনায় অনুরোধ করে, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র শর্ত চাপিয়ে দেয়—“মানতেই হবে।”
ফরিদা আখতার আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রের চাপের কারণে মাংস আমদানি বন্ধ করার সুযোগ নেই। বর্তমানে স্থানীয় বাজারে গরুর মাংসের দাম ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা হলেও আমদানি করলে ৩০০ টাকায় বিক্রি সম্ভব হবে। কিন্তু হালাল ইস্যুতে প্রশ্ন তুললে তারা সমাধান হিসেবে ‘৩০ হাজার মওলানা পাঠিয়ে জবাই’ করার প্রস্তাব দিয়েছে।
সভায় অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার চাইলে দ্বিপাক্ষিক গোপন বাণিজ্য চুক্তি জনগণের সামনে প্রকাশ করে একটি নজির স্থাপন করতে পারত, যা ভবিষ্যতে গোপন চুক্তির প্রবণতা কমিয়ে দিত।
এদিকে, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ফরিদা আখতারের মন্তব্যকে ‘ভুল’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি জানান, দ্বিপক্ষীয় চুক্তির খসড়া প্রকাশ না করা কূটনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত প্রক্রিয়া। চুক্তি সম্পন্ন হলে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে গোপনীয়তার শর্ত তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানানো হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
এম.কে
১৫ আগস্ট ২০২৫