অফিসে কাজের ফাঁকে ধূমপানের বিরতি নেয়ায় মোটা অঙ্কের অর্থ জরিমানা গুণতে হয়েছে। জাপানের এক সরকারি আমলার ক্ষেত্রে এই শাস্তি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ১৪ বছর ধরে অফিসের কাজের ফাঁকে ধূমপানের জন্য তিনি ৪,৫১২ বার বিরতি নিয়েছেন বলে সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়। এই ‘অপরাধে’ ওই আমলাকে ৯ লক্ষের বেশি টাকা জরিমানা করেছেন তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।
সিঙ্গাপুরের এক সংবাদপত্রের দাবি, ওসাকা শহরের ৬১ বছরের ওই আমলা-সহ ৩ জনকে একই ‘অপরাধে দোষী’ সাব্যস্ত করা হয়েছে। শহরের অর্থ দফতরের ডিরেক্টর পদমর্যাদার ওই আমলার পরিচয় অবশ্য প্রকাশ করেনি সংবাদমাধ্যমটি। তবে জরিমানা-সহ তার উপর আরও কয়েকটি শাস্তি নেমে এসেছে। বার বার নিষেধ করা সত্ত্বেও কাজের সময় অফিসে বসে ধূমপান করার শাস্তি হিসাবে আগামী ৬ মাস ওই ৩ জনের বেতনের ১০ শতাংশ করে কেটে নেওয়া হবে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বছর দুয়েক আগে ওসাকার অর্থ দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানতে পেরেছিলেন যে ধূমপানের জন্য অফিসেই তামাকজাত দ্রব্য লুকিয়ে রাখেন ওই ৩ ব্যক্তি। সে সময় অফিসে ধূমপানে নিষেধ করা হলেও কর্ণপাত করেননি তারা। অথচ শহরের ধূমপায়ীদের নিরস্ত করতে ২০০৮ সালে কড়া পদক্ষেপ করেছিলেন ওসাকা কর্তৃপক্ষ। সরকারি অফিস চত্বরে এবং জনসমক্ষে ধূমপান নিষিদ্ধ। অন্য দিকে, ২০১৯ সালে অফিসের কাজের সময় সরকারি কর্মীদের ধূমপানে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
সিঙ্গাপুরের এক সংবাদপত্রের দাবি, আর্থিক জরিমানা ছাড়াও আমলাকে তার ১৪ বছরে প্রাপ্ত বেতন থেকে প্রায় ৯ লক্ষ টাকা ফেরতের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
এই কড়া পদক্ষেপে অনেকেই আবার আমলার প্রতি সহানুভূতি জানিয়েছেন। কয়েক জনের মতে, এটি অত্যন্ত কড়া শাস্তি। যারা অফিসে বসে গল্প করে অথবা চা-কফি পানে অযথা সময় ব্যয় করেন, তাদেরকেও শাস্তির আওতায় আনা উচিত।