সিলেট সিটি করপোরেশনের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আলোচিত সমালোচিত সাবেক কাউন্সিলর আবুল কালাম আজাদ লায়েককে এক নারীসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। ১৩ মামলার আসামি লায়েককে রোববার আদালতে হাজির করে আদালতে পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড চাইলেও শুনানি হয়নি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. জিয়াউল হক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, লায়েককে আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় সাধারণ জনতা তাকে লক্ষ্য করে গালি ও থুতু দেয়, কিল-ঘুসি, থাপ্পড়ও মারেন অনেকেই।
পুলিশ জানায়, সুবর্ণা খান সুমি নামের এক নারীসহ শুক্রবার গভীর রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে লায়েককে গ্রেফতার করা হয়। তিনি সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা।
গ্রেফতার লায়েক সিলেট মহানগর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি নগরীর মুন্সিপাড়া এলাকার ১৯১ নম্বর বাসার মৃত আব্দুর রশীদের ছেলে। লায়েকের সঙ্গে আটক হওয়া নারীর নাম সুবর্ণা খান সুমি (২৫)। তিনি নগরীর মুন্সীপাড়া এলাকার ইউসুফ খানের মেয়ে।
আটকের পর সুমি নিজেকে লায়েকের স্ত্রী হিসেবে দাবি করলেও লায়েকের স্ত্রী তিন সন্তানের জননী নাসিমা আক্তার রুমির দাবি তিনিই লায়েকের একমাত্র স্ত্রী।
উল্লেখ্য, লায়েক বিভিন্ন কারণে সমালোচিত। ২০২০ সালের ১ এপ্রিল সিটি করপোরেশনের খাদ্য ফান্ডের ১২৫ বস্তা চাল জোর করে নিজ বাসায় নিয়ে যান কাউন্সিলর লায়েক। এরপর ৩ এপ্রিল লায়েকের বাসা থেকে ওই চাল উদ্ধার হয়। এরপর ২০২১ সালের ২৩ এপ্রিল লায়েকের বাসা ও কার্যালয়ে ক্ষুব্ধ জনতা হামলা চালায়। ২০২২ সালের ২২ অক্টোবর উত্তরাধিকার সনদের ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠে লায়েকের বিরুদ্ধে।
নগরীর মুন্সিপাড়ার অসংখ্য বাসাবাড়িতে অসামাজিক কার্যকলাপের নিয়ন্ত্রকও লায়েক বলে এলাকায় গুঞ্জন রয়েছে।
এম.কে
২৫ নভেম্বর ২০২৪