রাশিয়ার দাগেস্তান প্রজাতন্ত্রে নিরাপত্তার বিষয়টি সামনে এনে নিকাব নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মূলত দাগেস্তানের বিভিন্ন সিনাগগ ও চার্চে সন্ত্রাসী হামলার মুখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার দাগেস্তানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ এই নির্দেশ জারি করে। নিকাব হলো এমন কিছু বস্ত্র যা নারীদের চোখ ছাড়া পুরো শরীর ঢেকে রাখে।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দাগেস্তানের বিভিন্ন সিনাগগ ও চার্চে সন্ত্রাসী হামলার মুখে সাময়িকভাবে নিকাব নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দাগেস্তানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে বলেছে, দাগেস্তানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় সংস্থা বলেছে, ‘এই নিকাব বিদ্যমান হুমকি দূর না হওয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ।’
এর আগে, গত জুন মাসে সন্ত্রাসবাদীরা দাগেস্তানের দুটি শহরে একযোগে দুটি গির্জা, দুটি সিনাগগ ও একটি পুলিশ চৌকিতে হামলা চালিয়ে ২২ জনকে হত্যা করে। এসব হামলার তিন মাস আগে, মস্কোর উপকণ্ঠের একটি কনসার্ট হলে ইসলামিক স্টেটসে (আইএস) জঙ্গিদের হামলায় ১৪০ জনের বেশি নিহত হয়। যা রাশিয়ায় প্রায় দুই দশকের ইতিহাসে সবচেয়ে মারাত্মক সন্ত্রাসী হামলা।
অবশ্য দাগেস্তানে গত মাসে যেসব হামলা হয়েছে সেসব হামলার উদ্দেশ্য, হামলাকারীদের পরিচয় খুব একটা প্রকাশ পায়নি এখনো। তবে ১৯৯০ এর দশক থেকে ২০০০ এর দশক পর্যন্ত উত্তর ককেশাসে অবস্থিত এই রাজ্যটিতে যে ধরনের বিদ্রোহী তৎপরতা ছিল তার সঙ্গে এসব হামলার কিছুটা মিল আছে। তবে রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিন দাগেস্তানে নতুন করে বিদ্রোহের আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছে।
এর আগে, ১৯৯০—এর দশকে মস্কো দাগেস্তানের মুসলিম প্রতিবেশী রাজ্য চেচনিয়ার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য দুটি যুদ্ধ করেছে। রাশিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সে সময় প্রথমবার দেশটির প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর সেই যুদ্ধে বিদ্রোহ দমনের দাবি করেছিলেন।
উল্লেখ্য, দাগেস্তান থেকে অনেকেই সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটসের হয়ে লড়াই করতে সিরিয়ায় গিয়েছিলেন বলেও জানা গেছে।
সূত্রঃ এএফপি
এম.কে
০৩ জুলাই ২০২৪