একজন বাবা তার দুই সন্তানের মা, দশ বছরের সঙ্গীকে ছেড়ে চলে গেছেন ইউক্রেনীয় শরণার্থীর প্রেমে পড়েন। সেই শরনার্থীকে সেই দম্পতি নিজের বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছিলো।
২৯ বছর বয়সী টনি গার্নেট সরকারের শরণার্থী প্রকল্পের অংশ হওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। সরকারি প্রক্রিয়া দীর্ঘ সময় চলায় তিনি অধৈর্য্য হয়ে ওঠেন, এবং স্পন্সর খুঁজছেন এমন ইউক্রেনীয়দের ফেসবুক গ্রুপে যোগদান করেন।
এমন এক গ্রুপেই ২২ বছর বয়সী সোফিয়া কারকাদিমকে টনি খুঁজে পেয়েছিলেন। রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার পর সোফিয়া তার বাড়ি থেকে পালিয়েছিলেন।
সোফিয়া ৪ মে যুক্তরাজ্যে আসেন এবং ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ারের ব্র্যাডফোর্ডে টনি, তার সঙ্গী লরনা, এবং তাদের তিন এবং ছয় বছর বয়সী কন্যাদের সাথে বসবাস করতে শুরু করেন।
টনি দ্য সানকে বলেন, তাদের দ্রুত প্রেমে পড়ার আংশিক কারণ টনি স্লোভাকিয়ান ভাষায় কথা বলতে পারেন ইউক্রেনীয়দের মতো। লোরনা বুঝতে পারেনি এমন একটি ভাষায় তারা কথা বলতে শুরু করে এবং একে অপরের সাথে নিয়মিত জিমে যায়।
এদিকে টনির স্ত্রী লরনা এই পরিস্থিতির জন্য ক্ষুব্ধ হয়, এবং দুজনের ঘনিষ্টতা দেখতে পেয়ে সোফিয়াকে তাদের পরিবার থেকে চলে যেতে অনুরোধ করেন।
তবে তিনি হতবাক হয়ে যান যখন টনি তাকে বলেন: ‘যদি সে চলে যায় তাহলে আমিও চলে যাবো।’
সোফিয়া আসার ১০ দিনের মধ্যে, ‘নতুন দম্পতি’ বাড়ি ছেড়ে টনির বাবা-মায়ের বাড়ি চলে যায়। তারা একসাথে একটি সম্পত্তি খুঁজতে শুরু করেছে এবং সোফিয়ার স্থায়ী ভিসার জন্য প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
সোফিয়া বলেন, ‘খুব দ্রুত পরিণতি পেয়েছে আমাদের প্রেমের গল্প। আমি জানি লোকে আমাকে খারাপ ভাববে কিন্তু এটাই সত্য। আমি দেখতে পাচ্ছিলাম টনি কতটা অসুখী ছিল।’
অন্যদিকে লরনার একজন বন্ধু বলেন, ‘সে বর্তমানে প্রচন্ড বিধ্বস্ত একজন সিংগেল মা।’
২৩ মে ২০২২
মেট্রো ইউকে