রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের টালমাটাল অবস্থার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে ক্রীড়াঙ্গনেও। এরই ধারাবাহিকতায় চেলসি মালিক রোমান আব্রামোভিচের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার উপর জোর দিয়েছেন একজন লেবার এমপি।
ফুটবল ক্লাব চেলসির মালিকানা চালিয়ে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন লেবার এমপি ক্রিস ব্রায়ান্ট। রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার অংশ হিসাবে আব্রামোভিচের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দ্য সানের বরাত দিয়ে হাউজ অব কমন্সকে রন্ডার এই সাংসদ বলেন, আদালতের আব্রামোভিচ স্বীকার করেছেন যে তিনি রাজনৈতিক প্রভাবের জন্য অর্থ প্রদান করেছেন।
জানা যায়, গত কয়েক মাস ধরেই স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে অবস্থান করছেন না আব্রামোভিচ। কুটনৈতিক কারণে ২০১৮ সালেও যুক্তরাজ্যের এমন নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছিলেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে বায়ার্ন্ট বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ২০১৯ সালে ফাঁস হওয়া একটি নথি পেয়েছি আমি। নথিটি আব্রামোভিচের সাথে সম্পর্কিত। আব্রামোভিচের এইচএমজি অবৈধ অর্থ এবং ক্ষতিকর কার্যকলাপকে উদ্দেশ্য করে খোলা হয়েছে। দুর্নীতিগ্রস্থ কার্যকলাপের সাথে তার সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে।’
‘অবশ্যই তার ১৫২ মিলিয়ন পাউন্ডের বাড়িসহ কিছু সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার দিকে নজর দেওয়া উচিত আমাদের। তাছাড়া ইউকেতে টিয়ার-ওয়ান ভিসায় থাকা কেউ যেন এ ধরনের ক্ষতিকারক কার্যকলাপে জড়িত না হতে পারে না নিশ্চিত করা দরকার।
বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দ্য সান রিপোর্ট করেছে যে আব্রামোভিচকে যুক্তরাজ্যে বসবাস করা থেকে ‘কার্যকরভাবে নিষেধ’ করা হয়েছে এবং তা নিশ্চিত করতে অভিবাসন কর্মকর্তাদের সুস্পষ্ট নির্দেশনায়’।
২০১৮ সালে যুক্তরাজ্যে টিয়ার-১ বিনিয়োগ ভিসার আবেদন তুলে নিয়েছিলেন আব্রামোভিচ। কারণ, তিনি সেদেশে স্থায়ী হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার স্থায়ী ভিসার যেকোনো আবেদনও প্রত্যাখ্যান প্রায় নিশ্চিত।
২০০৩ সালে চেলসির মালিকানা নেন আব্রামোভিচ এবং অখ্যাত এই ফুটবল ক্লাবটিকে ক্রমেই ইউরোপের একটি পরাশক্তিতে পরিণত হয়।
তার মালিকানায়, পশ্চিম লন্ডনের ক্লাবটি কেবল খেলোয়ার কেনার পেছনে দুই বিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় করেছে এবং দুটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা, একটি ক্লাপ বিশ্বকাপ এবং ছয়টি প্রিমিয়ার লিগের মুকুট অর্জন করেছে।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২
এনএইচ