পাকিস্তানের প্রভাবশালী সেনাবাহিনীর বিদায়ী প্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার পরিবারের সদস্যদের করের তথ্য ‘অবৈধ এবং অযৌক্তিকভাবে’ ফাঁসের অভিযোগ করে অর্থমন্ত্রী ইশাক ধর বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে আমলে নিয়ে এ বিষয়ে অবিলম্বে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
সোমবার অর্থমন্ত্রণালয় থেকে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয় বলে জানিয়েছে দেশটির ইংরেজি ভাষার দৈনিক ‘ডন’।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘আইনের মাধ্যমে কর সংক্রান্ত তথ্য সম্পূর্ণ গোপন রাখার যে নিশ্চিয়তা দেওয়া হয়েছে এটি স্পষ্টত তার লঙ্ঘন।”
ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সেনাপ্রধান বাজওয়ার পরিবারের কর নথি ‘বেআইনি ও অন্যায্যভাবে’ ফাঁসের বিষয়টি গতকাল সোমবার গুরুত্বের সঙ্গে নেন অর্থমন্ত্রী। অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এটি আইনে দেওয়া কর তথ্যের সম্পূর্ণ গোপনীয়তার স্পষ্ট লঙ্ঘন।’
আগের দিনই কথিত কর রিটার্ন ও সম্পদের তথ্যের বরাত দিয়ে নিউজ ওয়েবসাইট ফ্যাক্টফোকাসের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, সেনাপ্রধানের পরিবার গত ছয় বছরে কয়েক শ কোটি রুপির সম্পদ গড়ে তুলেছে।
মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, আজ অবধি অজানা কর্মচারীদের পক্ষ থেকে এই গুরুতর ত্রুটির পরিপ্রেক্ষিতে কর আইনের লঙ্ঘন, কেন্দ্রীয় রাজস্ব বোর্ডের (এফবিআর) তথ্য হাতিয়ে নেওয়া ও অর্পিত দায়িত্ব ভঙ্গের বিষয়টি তদন্তে ব্যক্তিগতভাবে নেতৃত্ব দিতে প্রধানমন্ত্রীর রাজস্ববিষয়ক বিশেষ সহকারী তারিক মাহমুদ পাশাকে নির্দেশনা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
ফ্যাক্টফোকাস নিজেদের ‘পাকিস্তানভিত্তিক ডিজিটাল মিডিয়া’ হিসেবে পরিচয় দিয়েছে। তারা ডেটা-নির্ভর অনুসন্ধানী সংবাদ প্রতিবেদন নিয়ে কাজ করে আসছে বলে সংবাদ প্রতিষ্ঠানটি দাবি করেছে।
অতীতে এই ওয়েবসাইট পাকিস্তানের কয়েকজন রাজনীতিক ও অন্যান্য খাতের ‘তহবিল তছরুপ’ নিয়ে বিশদ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন—পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান ও সাবেক স্বৈরশাসক জেনারেল পারভেজ মোশাররফ।
২০২০ সালে এই ওয়েবসাইট অফশোর কোম্পানিতে চীন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডর অথোরিটির সাবেক চেয়ারম্যান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আসিম সালিম বাজওয়া ও তাঁর পরিবারের কথিত সম্পদ ও ব্যবসা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল।
২৭ নভেম্বর ২০২২
এনএইচ