5.9 C
London
December 22, 2024
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

পুনর্ব্যবহারের প্লাস্টিক শনাক্তে ব্রিটিশ স্টোরে নতুন উদ্যোগ

যুক্তরাজ্যে প্লাস্টিকের ব্যবহার নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর নজরদারি বাড়ছে। একই সঙ্গে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোও পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপকরণের দিকে ঝোঁক বাড়িছে। এর আওতায় শিগগিরই পুনর্ব্যবহারের প্যাকেজিং শনাক্তে নতুন ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করতে যাচ্ছে চেইন স্টোর ব্র্যান্ড মার্কস অ্যান্ড স্পেন্সর। এ প্রযুক্তির মাধ্যমে পানীয়ের বোতল, কার্টন ও অন্যান্য প্লাস্টিকের প্যাকেজিংয়ের গন্তব্য সহজে খুঁজে বের করা যাবে।

পলিট্যাগ নামের সংস্থাটির প্যাকেজিংয়ে অদৃশ্য ট্যাগ প্রিন্ট করা থাকে। এতে থাকা বার্তা প্লাস্টিকের পুনর্ব্যবহার কেন্দ্রে থাকা ইলেকট্রনিক যন্ত্রগুলো পড়তে পারে। যার মাধ্যমে একক ব্যবহারসহ বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিক সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে। এ অদৃশ্য ট্যাগ-সংবলিত পণ্য তিন মাসের মধ্যে এমঅ্যান্ডএসের তাকে পাওয়া যাবে।

এর আগে সিস্টেমটির বিভিন্ন দিক কো-অপ, অ্যালডি ও ওকাডোর মতো চেইন প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে এবারই প্রথম পূর্ণাঙ্গভাবে কোনো স্টোরে এর ব্যবহার হচ্ছে।

প্রকল্পের অংশ হিসেবে উত্তর আয়ারল্যান্ড ও উত্তর লন্ডনের এডমন্টনে পুনর্ব্যবহারের স্থাপনায় ট্যাগ পড়তে পারে এমন যন্ত্র ইনস্টলেশনের জন্য অর্থায়ন করবে এমঅ্যান্ডএস। এরই মধ্যে ওয়েলশ সরকার তিনটি কেন্দ্রে এ ধরনের যন্ত্র ইনস্টলেশনের জন্য অর্থায়ন করছে।

এক বছরের মধ্যে ১২টিরও বেশি কেন্দ্রে কাজ করার লক্ষ্য নিয়েছে বলে জানিয়েছে পলিট্যাগ। এর মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের গৃহস্থালি থেকে প্লান্টে যাওয়া একক ব্যবহারের প্লাস্টিক বর্জ্যের অর্ধেকই তাদের আওতায় আসবে। আশা কারা হচ্ছে, বাজারের অন্য খুচরা পণ্য বিক্রেতারা পুনর্ব্যবহার কেন্দ্রে অর্থায়ন করবে। এ ধরনের ৪৮টি কেন্দ্রে যুক্ত হলে ৯৫ শতাংশ পরিবারের বর্জ্য পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্রকল্পের আওতায় আনা যাবে বলে জানিয়েছে পলিট্যাগ।

এদিকে আগামী বছর থেকে এক্সটেনডেট প্রডিউসর রেসপনসিবিলিটি (ইপিআর) নামের নতুন প্রকল্প চালু করতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য সরকার। এতে খুচরা বিক্রেতাদের প্লাস্টিকের ব্যবহারের জন্য আলাদা ফি দিতে হবে।

ইপিআরের আওতায় খুচরা বিক্রেতারা পণ্যে ব্যবহৃত প্যাকেজিংয়ের তথ্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানাতে বাধ্য। মূলত উন্নত পুনর্ব্যবহারযোগ্য অবকাঠামো নির্মাণে বিক্রেতাদের দেয়া ফির একটি অংশ ব্যবহার হবে। পলিট্যাগ ব্যবহারের মাধ্যমে তারা এ ফি থেকে কিছুটা ছাড়ও পেতে পারেন।

পলিট্যাগের প্রধান নির্বাহী অ্যালিস র‌্যাকলি বলছেন, ‘এ ব্যবস্থাপনা প্লাস্টিকের পাত্র ও বোতল বাছাই করতে সহায়তা করবে। রাসায়নিকের মাধ্যমে দূষিত হয় এমন সামগ্রীর চেয়ে খাবারের প্যাকেজিংয়ে ব্যবহৃত প্লাস্টিকের গুরুত্ব বেশি। পলিট্যাগের মাধ্যমে এগুলো আরো সহজে আলাদা করা যেতে পারে।’

তিনি আরো বলেন, ‘‌পণ্যে ব্যবহৃত প্লাস্টিক সঠিকভাবে রিসাইকেল করা হয়েছে তা দেখানোর মাধ্যমে খুচরা বিক্রেতারা লাভবান হবেন। এটি কম ইপিআর ফি দেয়ার উপায় হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন তারা।

সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান

এম.কে
২২ মে ২০২৪

আরো পড়ুন

হোম অফিসকে যেভাবে আনন্দময় করে তুলতে পারবেন

অনলাইন ডেস্ক

সোশ্যাল মিডিয়ার ভুয়া তথ্য পোস্ট করায় সলিসিটর বরখাস্ত

ইংল্যান্ডে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে

অনলাইন ডেস্ক