7.4 C
London
December 19, 2024
TV3 BANGLA
মুক্তমতশীর্ষ খবর

বিলেতে বাড়ি কেনাবেচাঃ প্রোবেট সম্পত্তি

বিলেতে কোন প্রপার্টির মালিক মৃত্যুবরণ করলে উত্তরাধিকারসূত্রে/উইল অনুযায়ী তার স্বামী/স্ত্রী এবং সন্তানরা প্রপার্টির মালিকানা লাভ করবে। এই ধরনের প্রপার্টিকে বলে প্রোবেট সম্পত্তি এবং এই সম্পত্তি উত্তরাধিকারদের নিকট হস্তান্তর এর ক্ষেত্রে যে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয় তাকে বলে প্রোবেট লিগাল প্রসেস। প্রোবেট লিগাল প্রসেস এর মাধ্যমে উত্তরাধিকারসূত্রে/উইল অনুযায়ী একজন ব্যক্তি প্রপার্টির ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পান।

বিলেতে কেউ যদি উত্তরাধিকারসূত্রে অথবা উইলের মাধ্যমে কোন প্রোবেট প্রপার্টির মালিকানা পেয়ে থাকেন। এখন তিনি যদি উক্ত প্রপার্টি বিক্রয় করতে চান, তবে তাকে কিছু নিয়ম অনুসরণ করে উক্ত প্রপার্টি বিক্রয় করতে হবে।

গ্রেট ব্রিটেনে প্রোবেট প্রপার্টি বিক্রয় করার আগে প্রপার্টির মালিকদের যেসব বিষয় এর প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে- 

আপনি বর্তমানে প্রপার্টির প্রকৃত মালিক কিনা 

প্রপার্টি বিক্রয় করার আগে দেখতে হবে, যার মাধ্যমে আপনি প্রপার্টির মালিকানা পেয়েছেন, তিনি মৃত্যুর আগে কোন উইল করেছেন কিনা এবং সেই  আপনার নামে বর্তমান প্রপার্টির মালিকানা আছে। এখন প্রপার্টির পূর্বের মালিক যদি মৃত্যুর আগে কোন উইল না করেন, তবে আইন অনুযায়ী তার স্বামী-স্ত্রী, সন্তান এবং নাতি-নাতনীরা প্রপার্টির মালিকানা লাভ করবে।

প্রোবেট এর জন্য অ্যাপলিকেশন করা লাগবে কিনা 

 একক মালিকানাধীন কোন প্রপার্টির মালিকের মৃত্যু হলে, সাধারণভাবে উত্তরাধিকারগন প্রপার্টির মালিকানা লাভ করবে। এখন যৌথভাবে প্রপার্টির মালিকানা থাকলে, একজন মালিকের মৃত্যু হলে সাধারণভাবে প্রপার্টির মালিকানা অপর মালিকের নিকট হস্তান্তর হবে। প্রোবেট সম্পত্তি বিক্রয় করার জন্য যার নামে প্রপার্টি উইল করা হয়েছে তাকে প্রোবেট রেজিস্টারে “গ্রান্ট অফ প্রোবেট” এর জন্য অ্যাপলিকেশন করতে হবে।

উইলে কোন সমস্যা থাকলে 

এখন প্রপার্টির কোন উইল না থাকলে অথবা উইল বৈধ না হলে অথবা প্রপার্টির কোন এক্সিউটর না থাকলে অথবা এক্সিউটর তার দায়িত্ব ঠিক মত পালন না করলে। প্রোবেট কোর্ট যিনি “গ্রান্ট অফ প্রোবেট” এর জন্য অ্যাপলিকেশন করেছেন তাকে “লেটার অফ এডমিনিস্ট্রেশন” দিবে।  মৃত ব্যক্তির বাবা-মা, স্বামী-স্ত্রী, সন্তান, নাতি-নাতনী, ভাই-বোনরা “লেটার অফ এডমিনিস্ট্রেশন” এর জন্য অ্যাপলিকেশন করতে পারবেন।

আবার যাদের নামে উইল করা হয়েছে, তাদের মধ্যে যদি উইল নিয়ে কোন সমস্যা হয়। তবে তারা তাদের নিজস্ব সলিসিটর এর মাধ্যমে প্রোবেট কোর্ট “গ্রান্ট অফ প্রোবেট” প্রদান স্থগিত রাখার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এরপর প্রোবেট কোর্ট তাদের সমস্যা সমাধানের জন্য নির্দিষ্ট সময় দিবে।

“গ্রান্ট অফ প্রোবেট” এর জন্য কতদিন সময় লাগে  

ইংল্যান্ড এবং ওয়ালেস এ “গ্রান্ট অফ প্রোবেট” পেতে নুন্যতম ৯ থেকে ১২ মাস সময় লাগে। উইলের বিভিন্ন সমস্যা/অসম্পূর্ণ উইল, প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সংগ্রহ করতে সময়, প্রোবেট সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে উত্তরাধিকারদের মধ্যে সমস্যা ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে “গ্রান্ট অফ প্রোবেট” পেতে কিছুটা সময় লাগে।

“গ্রান্ট অফ প্রোবেট” এবং “লেটার অফ এডমিনিস্ট্রেশন” এর জন্য কি কি ডকুমেন্ট লাগবে 

  • প্রোবেট সম্পত্তি পূর্বের মালিকের ডেথ সার্টিফিকেট
  • সম্পূর্ণ উইল
  • ইনহেরিটেন্স ট্যাক্স পরিশোধ এর রসিদ
  • প্রোবেট সম্পত্তি উত্তরাধিকাররা কিভাবে ভাগাভাগি করে নিবে তার প্রমাণ পত্র।
  • “গ্রান্ট অফ প্রোবেট” এর জন্য  উইলসহ প্রোবেট কোর্ট নিকট অ্যাপলিকেশন
  • প্রপার্টির কোন উইল না থাকলে “লেটার অফ এডমিনিস্ট্রেশন” এর জন্য প্রোবেট কোর্ট নিকট অ্যাপলিকেশন
  • “গ্রান্ট অফ প্রোবেট” এবং “লেটার অফ এডমিনিস্ট্রেশন” এর জন্য সরকারি কোন ডকুমেন্ট অথবা তৃতীয় পক্ষ/ সংস্থার কোন  ডকুমেন্ট প্রয়োজন হলে তা সংগ্রহ করা।

 প্রোবেট অ্যাপলিকেশন এর জন্য কি রকম খরচ হয় 

প্রোবেট সম্পত্তির মূল্য £৫০০০ হলে কোন ফি নেই। £৫০০০ এর বেশি হলে অ্যাপলিকেশন ফি ২৭৩ পাউন্ড। এছাড়াও প্রোবেট ডকুমেন্ট সরকারি বিভিন্ন সংস্থার নিকট পাঠাতে হয়। এর জন্য প্রতিটি প্রোবেট অ্যাপলিকেশন ফি ১.৫ পাউন্ড।

ইনহেরিটেন্স ট্যাক্স এবং ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স  

প্রোবেট সম্পত্তির মূল্য £৩২৫,০০০ এর বেশি হলে উত্তরাধিকারদের ইনহেরিটেন্স ট্যাক্স দিতে হবে। তবে মৃত ব্যক্তির স্বামী/স্ত্রীকে ইনহেরিটেন্স ট্যাক্স দিতে হবে না। প্রোবেট সম্পত্তি বিক্রয় করার পর একটি নির্দিষ্ট হারে ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স  দিতে হবে।

প্রোবেট প্রপার্টির জন্য মর্গেজ  

উত্তরাধিকারসূত্রে কোন ব্যক্তি যদি হঠাৎ করে প্রপার্টির ওউনার হয়ে যান তবে তাকে অ্যাক্সিডেন্টাল ল্যান্ডলর্ড বলে। একটি এস্টেট এজেন্ট কোম্পানির জরিপ অনুযায়ী বর্তমানে গ্রেট ব্রিটেন এর মোট বাই টু লেট প্রপার্টির ৩০% প্রপার্টির ওউনার হল এক্সিডেন্টাল ল্যান্ডলর্ড ।এখন কোন প্রোবেট প্রপার্টির ওউনার তার প্রপার্টিতে নিজে বসবাস না করে বাই টু লেট প্রপার্টি হিসেবে ভাড়া দিতে পারবেন এবং এই  বাই টু লেট প্রপার্টি রি-মর্গেজ করে টাকা তুলতে পারবেন।

 প্রোবেট প্রপার্টির মর্গেজ এর জন্য যেসব বিসয় এর প্রতি বিশেষ লক্ষ্য রাখতে হবে- 

আপনার প্রপার্টির রেসিডেন্সিয়াল মর্গেজ আছে এবং আপনি এই প্রপার্টিকে বাই টু লেট প্রপার্টিতে রূপান্তর করে ভাড়া দিতে চাচ্ছেন। এই সিদ্ধান্ত নেবার পর প্রথমেই একজন অভিজ্ঞ মর্গেজ এডভাইজর এর সাথে পরামর্শ করুন। কারণ একজন মর্গেজ এডভাইজর আপনার সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে আপনাকে সঠিক পরামর্শ দিবে। এছাড়াও যে সব ডকুমেন্ট সংগ্রহ করতে হবে- ল্যান্ডলর্ড প্রপার্টি লাইসেন্স, কনসেন্ট টু লেট, ল্যান্ডলর্ড ইনস্যুরেন্স, রাইট টু রেন্ট, ইত্যাদি

প্রোবেট প্রপার্টি, প্রপার্টি মার্কেট এবং মর্গেজ সংক্রান্ত যেকোন ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে নিচের ইমেইল অথবা টেলিফোন নাম্বারে যোগাযোগ করা যাবে। 

EMAIL: info@benecofinance.co.uk

PHONE: +4402080502478

[yotuwp type=”videos” id=”8KKvX4S7kps” ]

আরো পড়ুন

সোল অথবা জয়েন্ট মর্গেজ অ্যাপ্লিকেশন  

গাজায় ইলন মাস্কের সহায়তার প্রস্তাবে ক্ষুব্ধ ইসরাইল

বৈধ সঙ্গী সাথে থাকার বাধ্যবাধকতা তুলে দেয়ার পর ওমরাহ ভিসা পাচ্ছেন একাকী নারীরা

অনলাইন ডেস্ক