ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির পেছনে থাকা নাইজেল ফারাজের রিফর্ম ইউকে পার্টির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের টিমের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। প্রতিদিনই তারা আলোচনা করছে। দলীয় সূত্রের বরাত দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তা বলেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কমলা হ্যারিসের পক্ষে প্রচারণায় লেবার পার্টির কর্মীদের পাঠানোয় ট্রাম্পের টিমের মধ্যে যথেষ্ট অসন্তোষ রয়েছে। মূলত কমলা হ্যারিসের পক্ষে প্রচারণা চালানোর পর থেকেই নতুন মার্কিন প্রশাসন রিফর্ম ইউকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।
২০২৫ সালের জানুয়ারির এক জরিপে দেখা গেছে, ফারাজের রিফর্ম ইউকে এবং ক্ষমতাসীন লেবার পার্টি যথাক্রমে ২৫ শতাংশ এবং ২৬ শতাংশ সমর্থন পেয়েছে।
লেবার সমর্থকরা তার ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রতিদ্বন্দ্বী ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের পক্ষে প্রচারণা চালাতে যুক্তরাষ্ট্রের সুইং রাজ্যগুলোতে গিয়ে ট্রাম্পের ২০২৪ সালের নির্বাচনের মাঠকে দুর্বল করার চেষ্টা করেছিল।
ডেইলি মেইলের খবরে বলা হয়, গত সপ্তাহে ট্রাম্পের সহযোগীরা লন্ডনের একটি প্রাইভেট মেম্বারস ক্লাবে রিফর্ম ইউকের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন। দলটির নির্বাচনের সম্ভাবনা কীভাবে বাড়ানো যায়, তা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
ওয়াশিংটনে ট্রাম্পের আসন্ন অভিষেক অনুষ্ঠান নিয়ে ফারাজ বলেন, আমি আসলে বিশ্বাস করি, আগামী সাধারণ নির্বাচনে আমরা জয়ী হব। আমি বিশ্বাস করি, আমিই পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে পারি। আমি আশা করি, ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকাকালীন আমরা তা দ্রুত করতে পারব।
যুক্তরাজ্যে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন হবে ২০২৯ সালে। লেবার পার্টি গত বছর দায়িত্ব গ্রহণ করলেও এরপর থেকে তারা অর্থনৈতিক স্থবিরতা এবং বিভিন্ন খাতে সংস্কারের দাবিসহ নানা ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। আগামী নির্বাচনে লেবারের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়ার সম্ভাবনায় থাকা ফারাজ কনজারভেটিভ পার্টি ও লেবার উভয় দলের প্রতি অসন্তুষ্ট ভোটারদের মধ্যে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন।
সূত্রঃ ডেইলি মেইল
এম.কে
২১ জানুয়ারি ২০২৫