আখের উৎপাদন কমে যাওয়ায় ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে বিশ্ববাজারে চিনি রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত। তবে দেশটি আবারও চিনি রপ্তানি শুরু করতে যাচ্ছে। বার্তাসংস্থা রয়টার্স রোববার (১৯ জানুয়ারি) জানিয়েছে, নিজেদের গত মৌসুমের উদ্বৃত্ত থেকে ১ মিলিয়ন টন চিনি রপ্তানি করার ঘোষণা দেবে নয়াদিল্লি।
বিশ্বে সবচেয়ে বেশি চিনি রপ্তানি করে লাতিন আমেরিকার জায়ান্ট ব্রাজিল। এরপরই রয়েছে ভারতের অবস্থান। ভারত মূলত বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে চিনি পাঠায়। কিন্তু ২০২৩-২০২৪ পর্যন্ত প্রয়োজনীয় এ পণ্যটির রপ্তানি বন্ধ রাখে তারা।
রয়টার্স জানিয়েছে, ভারতীয় বাজারে চিনির দাম পড়ে গেছে। এতে করে উৎপাদনকারীরা প্রাপ্য মূল্য পাচ্ছেন না। তাই চিনির দাম বাড়াতে আবারও বিশ্ববাজারে চিনি রপ্তানির সিদ্ধান্ত আসছে।
গত কয়েকদিন সপ্তাহ ধরেই বিষয়টি চিন্তাভাবনা করছিল সংশ্লিষ্টরা। তবে স্থানীয় চিনি ব্যবসায়ীরা এমন আসন্ন সিদ্ধান্ত নিয়ে অবাক হয়েছেন। কারণ গত ৮ বছরের মধ্যে এবারই প্রথমবার চাহিদার তুলনায় চিনি কম উৎপাদন হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভারতে যে চিনি উৎপাদন হয় তার ৮০ শতাংশই আসে মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক এবং উত্তরপ্রদেশ থেকে। আখের জমি কমে যাওয়ায় এ বছর উৎপাদন ২৭ মিলিয়ন টনে নেমে আসতে পারে বলে ধারণা ব্যবসায়ীদের। যেখানে চাহিদার পরিমাণই আছে ২৯ মিলিয়ন টন।
তবে ভারতের চিনি ও বায়ো-এনার্জি উৎপাদনকারী অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক দীপক বাল্লানি বলেছেন, “আগামী বছর উৎপাদন আরও বেশি হতে পারে। ফলে ১ মিলিয়ন টন চিনি রপ্তানি করার বিষয়টি এই শিল্পের জন্য ভালো খবর।” চিনি রপ্তানি করলে স্থানীয় বাজারে এটির মূল্য বাড়বে বলেও আশা প্রকাশ করে সংস্থাটি।
সূত্রঃ রয়টার্স
এম.কে
২০ জানুয়ারি ২০২৫