অ্যাটর্নি জেনারেলে মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, ১৫ বছরের ফ্যাসিস্টরা দেশে সাড়ে চার হাজারের বেশি মানুষকে বিনাবিচারে হত্যা করেছে। তাদের অপরাধ ছিল- তারা গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার চেয়েছিল।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ঝিনাইদহের শৈলকুপায় মেধা মনন উৎসবের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আসাদুজ্জামান বলেন, ৯০-এর গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা একটি নির্বাচন পেয়েছিলাম, গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা পেয়েছিলাম। কিন্তু রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের কারণে আমাদের সেই স্বপ্ন ভুলণ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন, ২০০৮ সালের পর থেকে বাংলাদেশের মানুষের জীবনে ফ্যাসিস্ট রাজনৈতিক শক্তির নীলনকশা জেঁকে বসেছিল। ১৫ বছরে ফ্যাসিস্টরা আমাদের মাঝ থেকে ৭০০ বেশি মানুষকে গুম করে করেছিল। সাড়ে চার হাজারের বেশি মানুষকে বিনা বিচারে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, তাদের অপরাধ- তারা কথা বলতে চেয়েছিল, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, ভোটাধিকার চেয়েছিল। এমন সাড়ে চার হাজারের বেশি আমাদের সহযোদ্ধাদের বিনাবিচারে হত্যা করা হয়েছে। শুধু এক বিএনপিই দাবি করছে, ১৫ বছরে তাদের ৬০ লাখের বেশি মানুষের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা করা হয়।
রাষ্ট্রের প্রধান এই আইন কর্মকর্তা বলেন, আমরা সেই অবস্থার পরিবর্তন চেয়ে ১৫ বছরে অতন্দ্র প্রহরীর মতো রাজপথ পাহারা দিয়েছি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আমাদের সেই নির্যাতন, নিপীড়ন, নির্যাতিত মানুষের মুখের ছবি ধারণ করে বৈষম্যের বিরুদ্ধে যখন রুখে দাঁড়িয়েছে তখন পাখির মতো গুলি করে প্রায় দুই হাজার ছাত্র-ছাত্রীকে হত্যা করা হয়েছে। অগণিত, অসংখ্য মানুষকে আহত করা হয়েছে। বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এমন পরিস্থিতিতে আমরা জুলাই বিপ্লব সংগঠিত করেছি। এ দেশের মানুষ শিক্ষার্থীদের পেছনে অবস্থান নিয়েছিল তারা আমাদেরই ভাই-বোন ছিল।
তাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা জুলাই বিপ্লব পেয়েছি। সেই জুলাই বিপ্লব কোনোভাবেই ভুলণ্ঠিত হতে দিতে পারি না।’
এম.কে
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫