বার্মিংহামে চলমান বর্জ্য সংগ্রাহকদের ধর্মঘট বুধবার ১০০ দিনে পা দিয়েছে। শহরের অভ্যন্তরীণ এলাকায় বসবাসকারীরা এখনো প্রতিদিন রাস্তায় হাঁটার সময় পচা খাবার, দুর্গন্ধ ও ময়লার স্তূপের মধ্য দিয়ে চলাফেরা করতে বাধ্য হচ্ছেন।
বালসল হিথ এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় দোকান ও টেকওয়ে থেকে উৎপন্ন বর্জ্য দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার পাশে জমে আছে। বর্জ্যের গন্ধ এতটাই তীব্র যে অনেক বাসিন্দা বাড়ি ফেরার পরপরই জুতা জীবাণুমুক্ত করছেন ও পোশাক ধুচ্ছেন।
স্মল হীথে বেড়ে ওঠা এনএইচএস কর্মী মার্টিন মুলানি জানান, “বন্ধুদের দেখতে গিয়ে ফেরার সময় আমাকে জুতা জীবাণুমুক্ত করতে হয়। রাস্তায় হাঁটার সময় পচা খাবার জুতায় লেগে যায়।” তিনি বলেন, “এটি শহরের সেইসব এলাকাগুলো যেখানে দরিদ্র মানুষের বসবাস বেশি, অথচ পরিষেবার মান সবচেয়ে খারাপ।”
মার্টিন বর্তমানে বাস করেন মসলি এলাকায়, যেখানে ধনী শ্রেণির বাস বেশি। তিনি বলেন, “এখানকার মানুষ সমস্যাটা ততটা টের পায় না। বড় বাগান, গাড়ি এবং স্থানীয় ডাম্পের কাছাকাছি থাকায় তারা বর্জ্য গোপন রাখতে পারে।”
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমার অসহ্য লাগে যখন অভ্যন্তরীণ এলাকার মানুষদের দোষ দেওয়া হয়। অথচ প্রকৃত সমস্যার মূল কারণ পরিষেবা বৈষম্য। এটা পুরো শহরের সমস্যা হওয়া উচিত।”
বার্মিংহাম সিটি কাউন্সিল স্বীকার করেছে, বর্তমান বর্জ্য সংগ্রহ ব্যবস্থা নাগরিকদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারছে না। যদিও একটি আদালতের আদেশের মাধ্যমে ইউনাইট ইউনিয়নের কর্মীদের কাজে বাধা না দেওয়ার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে, তারপরও বর্জ্য অপসারণের গতি অভ্যন্তরীণ এলাকায় এখনও অত্যন্ত ধীর।
শহরের অন্যান্য অভিজাত এলাকা যেমন এজবাস্টনেও পরিস্থিতি ভিন্ন। বড় বাড়ি ও ব্যক্তিগত ব্যবস্থাপনার কারণে সেখানকার মানুষ এই সংকটের প্রকৃত চেহারা বুঝতেই পারছেন না।
মার্টিনের মতে, “এটি এখন এক শহরের দুই রূপ—একদিকে পরিচ্ছন্নতা ও সুবিধা, আরেকদিকে অবহেলা ও দুর্গন্ধ। এই বৈষম্য কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”
সূত্রঃ মিরর
এম.কে
১৮ জুন ২০২৫