এখন হতে নতুন নিয়মে সিম বা সংযোগ নিলে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো হতে কিস্তিতে স্মার্টফোন কিনতে পারবেন গ্রাহকরা।
অর্ধযুগেরও বেশি সময় ধরে সিম বা নেটওয়ার্ক লকিং রেখে নিজ গ্রাহকের কাছে হ্যান্ডসেট বিক্রির দাবি জানিয়ে আসছিলো মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো। অবশেষে এই উদ্যোগ বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত এলো।
মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো এবং বিটিআরসি এক যৌথ বিবৃতিতে বলে, স্মার্ট বাংলাদেশের মূল ভিত্তি স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট ইকোনমি ও স্মার্ট গভর্নেন্স। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে হাতে-হাতে ইন্টারনেট ব্যবহারের বিকল্প নেই। সেখানে স্মার্টফোন নাগরিকদের হাতের নাগালে আনতে এই পদ্ধতি দারুণ কার্যকর হতে পারে।
নতুন এই উদ্যোগে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো দুই বা এর বেশি সিমের স্লটের স্মার্টফোন গ্রাহকদের প্রদান করবে মাসিক বিল পেমেন্টের ভিত্তিতে। সেখানে একটি স্লটে যে অপারেটর স্মার্টফোন সে অপারেটরের সিম লকিং থাকবে। অন্য স্লটগুলোতে গ্রাহক নিজেরে পছন্দ অনুযায়ী যেকোনো অপারেটরের সিম ব্যবহার করতে পারবে এবং এখানে কোনো শর্ত থাকবে না।
অপারেটরগুলো হ্যান্ডসেট আমদানি, উৎপাদন ও সংযোজন করতে পারবে না। স্থানীয়ভাবে মোবাইল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হতে তারা স্মার্টফোন কিনবে।
ডাউন পেমেন্ট নেয়া যাবে সর্বনিম্ন ২০ শতাংশ এবং সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ । কিস্তি হবে সর্বনিম্ন ৩ মাস হতে সর্বোচ্চ ১২ মাস পর্যন্ত।
কিস্তি শেষ হওয়ার পর বা স্মার্টফোনের দাম পরিশোধের পর লক করা সিমের স্লটটি খুলে দিতে হবে এবং গ্রাহকের স্বাধীনতা থাকবে যেকোনো সিম ব্যবহার করার। স্মার্টফোনের দাম পরিশোধ না করে অপারেটর বদল করা যাবে না, অর্থাৎ এমএনপি করা যাবে না।
অপারেটরগুলো এখানে বিটিআরসির অনুমতি নিয়ে বিভিন্ন প্যাকেজ দিতে পারবে এবং কিস্তিতে দেয়া হ্যান্ডসেটের বিস্তারিত তথ্য বিটিআরসিকে জানাবে।
এম.কে
১৯ জুন ২০২৩