মাঠের খেলায় পিছিয়ে থাকলেও, বাৎসরিক আয়ের দিক থেকে অস্ট্রেলিয়া থেকে এগিয়ে বাংলাদেশ। আর ব্যবধানটাও বেশ বড়। ২২১ কোটি টাকায় অজি ক্রিকেটকে পেছনে ফেলেছে বিসিবি। আয়ের দিক থেকে কোন ক্রিকেট বোর্ড এগিয়ে, সেই তালিকা প্রকাশ করেছে টেকনোস্পোর্টস।
নিঃসন্দেহে যেই ক্রিকেট বোর্ডের আছে সব থেকে জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ, সেই বোর্ডের টাকার অঙ্কটা যে কয়েকটি বোর্ডের বাৎসরিক আয়ের যোগফল; তা বলাই বাহুল্য। বলা হচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআইয়ের কথা। ২০২৩ সালে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের হাতে থাকা অর্থের পরিমাণ ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, বিসিসিআইয়ের বাৎসরিক আয় ৫১২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এরপরেই অবস্থান দক্ষিণ আফ্রিকার। তাদের অর্থ ভাণ্ডারে আছে ৭৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ইংলিশদের অবস্থান তালিকার তিনে। ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের তহবিলে আছে প্রায় ৫৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
পিএসএল থেকে বেশ ভালো টাকা প্রতি বছর আয় করে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। ৫৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের তহবিল নিয়ে তালিকার চারে পিসিবি।
ঠিক এর পরেই আছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। ২০২৩ সালে বিসিবির হাতে আছে ৫১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
মাঠের খেলার কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও আয়ের তালিকায় অবস্থান খুব একটা খারাপ নয় জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ডের। তাদের অর্থ তহবিলের পরিমাণ ৩৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
১৯০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার অবস্থান এই তালিকার ৭ নম্বরে। ২৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রয়েছে দেশটিরে ক্রিকেট বোর্ডের তহবিলে।
দেশের আর্থিক সঙ্কটের মাঝে ক্রিকেট চালিয়ে যাওয়া দেশ শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট বোর্ডের আছে ১৩.৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এরপরেই অবস্থান ক্রিকেটের ফেরিওয়ালাদের। প্রায়ই ক্রিকেটারদের সাথে বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে বিবাদে জড়াতে দেখা যায় ক্যারিবিয়ানদের। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের হাতে আছে ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এই তালিকায় সবার নিচে অবস্থান কিউইদের। ৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার নিয়ে ১০’এ অবস্থান করছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড।