20.7 C
London
October 16, 2024
TV3 BANGLA
বাংলাদেশ

বিএসএফের বাংলাদেশি হত্যা, দিল্লির কাছে কড়া প্রতিবাদ ঢাকার

দিল্লির চোখ রাঙানী আর সহ্য করবে না বাংলাদেশ। হাসিনার নতজানু নীতির কারণে দিল্লি আর ঢাকার সম্পর্ক ছিল মুনিব আর সেবাদাসের মতো। ভারতের চোখ রাঙানি, একের পর এক সীমান্তে হত্যার প্রতিবাদ করতো না বাংলাদেশ। বরং ভারতকে খুশি করতে সীমান্ত হত্যা গরু চুরির কারণে হচ্ছে বলে আওয়ামী লীগ রেজিমে প্রচার করা হতো। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যূত্থানে রাজনৈতিক পরিবর্তন ঘটেছে।

সে সঙ্গে বাংলাদেশেরও শাসকরা নতজানু মানসিকতা থেকে বেরিয়ে এসেছেন। প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার আগেই ড. মুহম্মদ ইউনূস বাংলাদেশে বিশৃংখলা করা হলে সেভেন সিস্টার্সে সে প্রভাব পড়বে বলে হুশিয়ারি দিয়েছিলেন। এখন সীমান্তে হত্যা হলেই কড়া প্রতিবাদ করছে বাংলাদেশ। কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার বাসিন্দা কামাল হোসেনকে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলি করে হত্যার ঘটনায় নয়াদিল্লি সরকারের কাছে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গতকাল বুধবার ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনে পাঠানো নোটে প্রতিবাদ করে এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

দিল্লিকে সকর্ত করে এতে বলা হয়েছে, সীমান্ত হত্যাকাণ্ডকে ‘শূন্য পর্যায়ে’ নামিয়ে আনার জন্য ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বারবার প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও বিএসএফের এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে।
সীমান্ত হত্যাকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি বন্ধ করতে ভারত সরকারকে আহবান জানানোর পাশাপাশি সব কটি সীমান্ত হত্যার ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনার আহ্বান জানানো হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চিঠিতে লিখেছে, সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার ব্যাপারে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের অব্যাহত আশ্বাসের পরও বিএসএফের হাতে এ ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে বাংলাদেশ উদ্বেগ প্রকাশ করছে। বাংলাদেশ সরকার জোর দিয়ে বলেছে, সীমান্ত হত্যার এ ধরনের ঘটনা অনাকাঙ্খিত ও অযাচিত। এ ধরনের কর্মকাণ্ড দুই দেশের সীমান্তরক্ষীদের জন্য বাংলাদেশ-ভারত যৌথ নির্দেশিদ ১৯৭৫ এর লংঘন। বাংলাদেশ সরকার ভারত সরকারকে এ ধরনের জঘন্য কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি বন্ধ করতে এবং সব সীমান্ত হত্যাকাণ্ডের তদন্ত পরিচালনা করার পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে তাদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানায়।

সীমান্ত হত্যার মতো জঘন্য কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি বন্ধ করতে এবং সব সীমান্ত হত্যাকাণ্ডের তদন্ত পরিচালনা করার পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে তাদের বিচারের আওতায় আনতে বাংলাদেশ সরকার ভারত সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে।

এম.কে
১০ অক্টোবর ২০২৪

আরো পড়ুন

প্রশংসায় ভাসছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যে ক্যালিগ্রাফি

বিদ্যুৎ উৎপাদনে আদানির চেয়েও ব্যয়বহুল এস আলম

হাসিনার পতনে যেসব চ্যালেঞ্জের মুখে ভারত