বাংলাদেশের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সিনিয়র কমান্ডারদের বিরুদ্ধে বিচারবহির্ভূত হত্যার অভিযোগ এসেছে। বাহিনীটি ২০১৫ সাল থেকে বিচারবহির্ভূত ৪০০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে বলে একটি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ফরেন রিলেশন কমিটির সদস্য সিনেটর বব মেনেনডিজ মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানান। সিনেটর টড ইয়ং এরসঙ্গে আরো আটজন সহকারী যোগ দিয়েছিলেন এতে।
সেক্রেটারি অব স্টেট মাইক পম্পেও এবং ট্রেজারি সেক্রেটারি স্টিভেন মিনুচিনকে সম্বোধন করা একটি দ্বিপক্ষীয় চিঠিতে জানানো হয়, বৈশ্বিক মানবাধিকার দায়বদ্ধতা আইনে র্যাবের সিনিয়র কমান্ডারদের উপর নিষেধাজ্ঞার জন্য প্রশাসনের প্রতি সিনেটররা অনুরোধ করেছেন।
সিনেটররা লিখেছেন, বাংলাদেশ সরকার ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনের পর থেকে কয়েক মাসের মধ্যে মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করার পরে র্যাব কর্তৃক অযৌক্তিক হত্যাকাণ্ড অনেক বেড়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নামে মানব হত্যা একটি ‘ইচ্ছাকৃত নীতি’ বলে প্রমাণিত হয়েছে। এছাড়াও সরকারকে এটির অবসান ঘটাতে এবং আইন ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
প্রায় সব ক্ষেত্রেই বিচারবহির্ভূত হত্যার পরে দাবি করেছে যে “বন্দুকযুদ্ধ” বা “ক্রসফায়ার”, কিন্তু মানবাধিকার সংস্থাগুলোর নথি প্রমাণ করে যে নিহত হওয়ার সময় ভুক্তভোগীরা প্রায়শই র্যাব হেফাজতে থাকত এবং তাদের দেহের বেশিরভাগ চিহ্নই প্রমাণ করে কোনো বন্ধুকযুদ্ধ হয়নি।
এসবের পাশাপাশি র্যাবের বিরুদ্ধে নির্যাতন, অপহরণ, সাংবাদিক নিখোঁজ, গুম, খুনের অভিযোগ অনেক বেড়েছে। এই ঘটোনাগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘন হলেও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন এবং এর সিনিয়র নেতৃত্বের কোনো বিচার হয়নি।
২৯ অক্টোবর ২০২০
এসএফ / এনএইচ