যুক্তরাজ্যের ওয়ার্ক এণ্ড পেনশন সেক্রেটারি বলেছেন, ব্রিটেনের প্রতিষ্ঠানগুলিতে বিদেশী শ্রমিক দ্বারা যে স্থান পূরণ করা ছিল তা ব্রিটিশ বেকারদের দ্বারা দ্রুততার সহিত পূরণ করা উচিত।
মেল স্ট্রাইড জানান যুক্তরাজ্যের কিছু সেক্টরে বিদেশী কর্মীরা যে অবস্থানগুলি ব্যবহার করত সেগুলি পূরণ করার জন্য ব্রিটিশ জনগণকে ইতোমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে।
কাজের ভিসার কিছু উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের ফলে বিদেশি শ্রমিক নেয়া অনেকক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জিং হয়েছে প্রতিষ্ঠানের জন্য। যা সহজেই ব্রিটিশ জবসিকারদের দ্বারা পূরণ করা সম্ভব।
তথ্যমতে জানা যায়, এইচএসবিসি এবং ডিলয়েটের মতো স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান যখন যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় হতে বের হওয়া আন্তর্জাতিক স্নাতকদের চাকরির অফার দেয়া প্রত্যাহার করেছে তখন স্ট্রাইড এই বিষয় সামনে নিয়ে আসলেন।
কর্মীদের ঘাটতি পূরণে যখন বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান মুখোমুখি তখন সঠিক রূপরেখা প্রদানের মাধ্যমে ব্রিটিশ জবসিকারদের চাকুরী দেওয়ার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য সরকার বলে মত জানান তিনি। তাছাড়া বেনিফিট বিল কমাতে, আইনী অভিবাসনের মাত্রা হ্রাস করতে ইতোমধ্যে ক্রস গভমেন্ট মিনিস্টারাল টাস্কফোর্স চালু করা হয়েছে বলেও তথ্য দেন তিনি।
স্ট্রাইড বলেন, “ আমি জানি এটি নির্দিষ্ট খাতে কিছু নিয়োগকর্তাদের জন্য খুবই চ্যালেঞ্জিং হবে। বিশেষত যারা অতীতে মাইগ্রেশনের উপর বেশি নির্ভর করে প্রতিষ্ঠান চালিয়েছিল। তবে এটি আমাদের ঘরোয়া কর্মী বাহিনীর জন্য সুখবর হয়ে আসবে। ”
লেবারের ওয়ার্ক এণ্ড পেনশন বিভাগের শ্যোডো মিনিস্টার অ্যালিসন ম্যাকগোভারন বলেন, “ ১৪ বছরের টরি ব্যর্থতার দায় মেল স্ট্রাইডেরও আছে। এমন কিছু সেক্টরের কাজ রয়েছে যা বিদেশি কর্মীবাহিনী ছাড়া সম্পন্ন করা কঠিন। কিন্তু কনজারভেটিভ পার্টি যেসব কথা বলে যাচ্ছে তাতে বোঝা যায় তাদের কোনো পরিকল্পনা নেই শুধু নির্বাচনে জেতার চেষ্টামাত্র। কনজারভেটিভ সরকার কর্তৃক এই দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে যা হীতে বিপরীত হয়েছে দেশের জন্য।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে,“ রক্ষণশীলরা দেশের জনগণের জন্য দক্ষতা এবং প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা হ্রাস করেছিল। যার কারণে বিদেশি নির্ভর হয়ে পড়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানসমূহ। এখন নির্বাচন পূর্ববর্তী সময়ে এসে অকস্মাৎ নতুন পরিবর্তন দেশের জন্য মঙ্গল বয়ে নাও আনতে পারে।”
সূত্রঃ সিটিএএম.কম
এম.কে
২১ মে ২০২৪