TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

“বেনিফিট সাহায্য নাকি ফাঁদ” – বেনিফিট ব্যবস্থায় নতুন দৃষ্টিভঙ্গি কনজার্ভেটিভ নেতা ব্যাডেনোকের

কনজারভেটিভ পার্টির নেতা কেমি ব্যাডেনোক সোমবার রাতে কনজারভেটিভ ক্রিশ্চিয়ান ফেলোশিপে দেয়া বক্তব্যে যুক্তি দিয়েছেন যে ক্রমবর্ধমান কল্যাণ ভাতা ও দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতা ভাতার ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করা এবং মানুষকে আবার কাজে ফিরিয়ে আনা হলো খ্রিস্টান মূল্যবোধের প্রতিফলন।

তিনি ব্যক্তিগত বিশ্বাসের কথা খুলে বলেন, “খ্রিস্টান মূল্যবোধ সারাজীবন আমার জীবনের একটি স্থায়ী অংশ ছিল। আমরা সবাই আমাদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন, নিজের, পরিবারের এবং সম্প্রদায়ের প্রতি।” ব্যাডেনোক উল্লেখ করেন, কনজারভেটিভরা বিশ্বাস করে প্রচেষ্টার সঙ্গে প্রতিফলের সামঞ্জস্য থাকা উচিত এবং বেনিফিট ব্যবস্থা এমন হওয়া উচিত যা মানুষকে পুনরায় স্বনির্ভর হতে সাহায্য করে।

তিনি আরও বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি কল্যাণ ব্যবস্থা একটি ফাঁদ নয়, বরং একটি ‘ট্রামপোলিন’, যা পড়লে সাময়িকভাবে ধরে রাখে এবং আবার দাঁড়াতে সহায়তা করে। এটি শুধু অর্থনৈতিকভাবে বুদ্ধিমানের কাজ নয়, নৈতিকভাবেও সঠিক।” ব্যাডেনোক ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এই নীতিকে যুক্তিসঙ্গত ও নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হিসেবে উপস্থাপন করেন।

বক্তৃতার অন্য অংশে তিনি তার শৈশব এবং বেড়ে ওঠার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “আমাকে নাইজেরিয়ায় মেথডিস্ট বাবা-মা বড় করেছেন, যারা বিশ্বাসকে দায়িত্ব, কর্তব্য ও রক্ষণাবেক্ষণের সঙ্গে যুক্ত করেছেন। এই খ্রিস্টান মূল্যবোধই আমার কনজারভেটিভ চিন্তাভাবনাকে গড়ে তুলেছে। আমাদের পরিবারে সেবা, ত্যাগ ও কর্তব্য সবসময় কেন্দ্রীয় ছিল।”

ব্যাডেনোকের মন্তব্য এসেছে এমন সময়ে যখন রাজনৈতিক বিতর্ক চলছে দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতা ভাতা এবং ক্রমবর্ধমান কল্যাণ খরচ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে। সম্প্রতি সার কিয়ার স্টার্মার লেবার দলের বিদ্রোহের মুখে প্রতিবছর প্রতিবন্ধী ভাতার ব্যয় বৃদ্ধির পরিকল্পনা বাতিল করতে বাধ্য হন।

এছাড়া, ব্যাডেনোক উল্লেখ করেন যে তার নিজস্ব জীবন ও পারিবারিক ইতিহাসে ধর্মীয় প্রভাব শক্তিশালী। তিনি বলেন, তার দাদী মুসলিম ছিলেন কিন্তু খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করেছিলেন, আর নানা ছিলেন মেথডিস্ট মিনিস্টার। কনজারভেটিভ পার্টির মাধ্যমে তিনি একজন ক্যাথলিককে বিয়ে করেছেন এবং তার সন্তানরা সেই ধর্মে বড় হচ্ছে। তিনি বলেন, “লাগোস থেকে লন্ডন—খ্রিস্টান মূল্যবোধ আমার জীবনের স্থায়ী সঙ্গী।”

ব্রিটেনে রাজনৈতিক নেতাদের ধর্মীয় পরিচয় বিতর্কের বিষয় হয়ে থাকে। উল্লেখযোগ্য, স্যার কিয়ার স্টার্মার কয়েক দশকের মধ্যে প্রথম স্বঘোষিত নাস্তিক নেতা। অন্যদিকে, এড মিলিব্যান্ড বলেন, “আমি ব্যক্তিগতভাবে ঈশ্বরে বিশ্বাস করি না, কিন্তু যারা বিশ্বাস করে তাদের প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা আছে।”

সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান

এম.কে

আরো পড়ুন

বাজেট ২০২৩: বাড়িওয়ালাদের জন্য কী ঘোষণা করা হয়েছিল?

ইউরোস্টারের প্রতিদ্বন্দ্বী হতে ভার্জিনের ৭০০ মিলিয়ন বিনিয়োগের পরিকল্পনা

ফ্রান্স-ব্রিটেনে মানবপাচার: ১১ বছরের দণ্ড এক পাচারকারীর