0.6 C
London
November 21, 2024
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)শীর্ষ খবর

বেলকনিতেও জায়গা হলো না প্রিন্স হ্যারির

রাজ্যাভিষেক শেষে বাকিংহাম প্যালেসে ফিরে এসে প্রাসাদের বেলকনিতে দাঁড়িয়ে উচ্ছ্বসিত জনতাকে হাত নাড়িয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাজা তৃতীয় চার্লস ও রানি ক্যামিলা। সেখানে রাজপরিবারের সদস্যদের সবাই থাকলেও জায়গা হয়নি রাজা চার্লসের ছোট পুত্র প্রিন্স হ্যারির।

শনিবার বেলকনিতে রাজা-রানির সঙ্গে প্রিন্স অব ওয়েলস ও প্রিন্সেস অব ওয়েলস, প্রিন্স জর্জ, প্রিন্সেস শার্লট, প্রিন্স লুই, প্রিন্সেস অ্যান ও প্রিন্স এডওয়ার্ড, রানী ক্যামিলার নাতি-নাতনি এবং তাদের বর্ধিত পরিবারের কিছু সদস্যও উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু সেখানে দেখা যায়নি ডিউক অব সাসেক্স প্রিন্স হ্যারিকে।

বাকিংহাম প্যালেসের ব্যালকনি মুহূর্তটি রাজপরিবারের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এটি রাজ্যাভিষেকের সবচেয়ে আইকনিক চিত্রগুলির মধ্যে একটি। কিন্তু এই গুরুত্বপূর্ণ মুহুর্তে রাজপরিবারের বিভিন্ন সন্তানদের দেখা গেলেও দেখা মেলেনি প্রিন্স হ্যারির। সমবেত জনতাকে সম্ভাষণ জানানোর জন্য ব্যালকনিতে যোগ দেয়ার জন্য হ্যারিকে আমন্ত্রণই জানানো হয়নি।

 

 

 

 

এ সময় প্রিন্সেস অ্যান, প্রিন্স উইলিয়াম এবং ক্যাথরিন এবং প্রিন্স এডওয়ার্ড এবং সোফির মতো রাজপরিবারের সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত ছিল। এরাই হবেন রাজপরিবারের সদস্য যারা রাজা চার্লসের রাজত্বের কেন্দ্রবিন্দু হবে। এ থেকে বোঝা যায়, প্রিন্স হ্যারি এখন প্রিন্স অ্যান্ড্রুর মতো অচ্ছুৎ । যার জন্য রাজপরিবারের কোনও স্থান নেই।

অভিষেক অনুষ্ঠানের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রিন্স হ্যারি তার ছেলের চতুর্থ জন্মদিনের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যেতে পারেন বলে জানা গেছে। সেখানে তার স্ত্রী মেগান মর্কেল দুই সন্তান প্রিন্স আর্চি এবং প্রিন্সেস লিলিবেটকে নিয়ে অবস্থান করছেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকলেও সেখানে কোনরকম আনুষ্ঠানিক ভূমিকা পালন করেননি প্রিন্স হ্যারি। এমনকি বাবার অভিষেক শোভাযাত্রাতেও অংশ নেননি তিনি। রাজা তৃতীয় চার্লসের ছোট ছেলে ও সিংহাসনের পঞ্চম উত্তরাধিকারী প্রিন্স হ্যারি রাজদায়িত্ব ছেড়ে তার স্ত্রী মেগানকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াতে থাকেন। তারা নানা সময়ে রাজপরিবারের বিভিন্ন সদস্যের বিরুদ্ধে বর্ণবাদের অভিযোগ তুলেছেন।

 

 

 

 

হ্যারি ও মেগান দম্পতি ২০২০ সালে রাজপরিবার ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাকাপাকিভাবে থিতু হয়েছেন। যুক্তরাজ্য ছাড়ার পর থেকে তাদের সঙ্গে রাজপরিবারের অনেকটা দূরত্ব তৈরি হয়। বিভিন্ন সময় সাক্ষাৎকারে, স্মৃতিকথা লিখে এ দম্পতি প্রাসাদের অনেক অজানা খবর ফাঁস করে দিয়েছেন। জন্ম দিয়েছেন বিতর্ক ও সমালোচনার।

প্রিন্স হ্যারির লেখা বই স্মৃতিকথা ‘স্পেয়ার’ তিনি তার জীবনের সব ঘটনা তুলে ধরেন। ওই বইতে হ্যারি উল্লেখ করেন, রাজপরিবারে ছোটবেলা অবহেলার শিকার হয়েছেন হ্যারি। ২০১৮ সালে মেগান মার্কেলের সঙ্গে বিয়ের পর তার স্ত্রীর ওপরও নির্যাতন চালায় রাজপরিবারের সদস্যরা। তারা মেগানের সঙ্গে বর্ণবাদী আচরণ করতেন।

 

আরো পড়ুন

সাপোর্ট ফর মর্গেজ ইন্টারেস্ট (এস.এম.আই)

অনলাইন ডেস্ক

বিনা পয়সায় ক্রিপ্টোকারেন্সির মালিক হতে মানুষের লম্বা লাইন

সৌদিতে বাংলাদেশি যুবককে গলাকেটে হত্যা

অনলাইন ডেস্ক