TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে বিশৃঙ্খলা, চটেছেন ঋষি সুনাক

ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডি ফ্যাক্টো রাজধানী হিসাবে পরিচিত ব্রাসেলস ইইউ প্রতিষ্ঠানগুলির উপস্থাপক দেশ হিসাবে ইইউ-এর বিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখে যাচ্ছে।

২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি বেলজিয়াম স্পেনের কাছ থেকে কাউন্সিল অফ ইউরোপীয় ইউনিয়নের পর্যায়ক্রমিক সভাপতিত্ব গ্রহণ করে। ২০১০ সালে শেষ বারের মতো এই দায়িত্ব গ্রহণ করার পর এ বার বেলজিয়ামের ১৩তম সভাপতিত্ব এমন এক অশান্ত সময়ে ঘটেছে যখন ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিদ্যমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, মধ্যপ্রাচ্যে ভয়াবহ অস্থিতিশীলতা, জ্বালানি নিরাপত্তা এবং চীনের তরফে চ্যালেঞ্জ-সহ একাধিক সঙ্কটে জর্জরিত।

কর্মসূচির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে, বিভিন্ন ইইউ আইনে অগ্রগতি আনতে এবং সদস্য রাষ্ট্রগুলির মধ্যে সহযোগিতা ও ঐক্যমত তৈরি করার লক্ষ্যে ইউরোপীয় কাউন্সিল কাজ করে যাচ্ছে।

স্পেন, বেলজিয়াম ও হাঙ্গেরি-কে নিয়ে গঠিত বর্তমান ত্রয়ীর মধ্যে বেলজিয়াম জুন মাসের শেষ পর্যন্ত সভাপতিত্ব করবে, তার পরে জুলাই মাসে হাঙ্গেরির কাছে এই সভাপতিত্বের দায়িত্ব হস্তান্তর করা হবে বলে জানা যায়।

এরই মধ্যে গতকাল একটি র‌্যাডিক্যাল রাইটউইং সম্মেলন বন্ধ করার জন্য বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে জানা যায়।

বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে পুরোদিন জোরে বিশৃঙ্খলা জনিত ঘটনা ঘটার পর বেলজিয়ামের মেয়র জাতীয় কনজারভেটিভস ইভেন্ট বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন যা বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার ডি ক্রু দ্বারা “অগ্রহণযোগ্য” হিসাবেও নিন্দিত হয়।

বেলজিয়ামের ক্লারিজ হোটেল থেকে কার্যক্রম শুরু করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ কার্যক্রম বন্ধ করার আদেশ দেওয়ার জন্য ভবনে প্রবেশ করে। ব্রেক্সিট পার্টির প্রাক্তন নেতা নাইজ্যাল ফ্যারেজ যখন তার বক্তব্য শেষ করার পর্যায়ে ছিলেন ঠিক তখনই এই পদক্ষেপ নেয়া হয়।

সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান, গত বছর যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব হিসাবে বরখাস্ত হওয়ার পর থেকে ব্রিটেন এবং তার বাইরে ডানপন্থী নেতা হিসাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি তার বক্তব্যে দাবি করেন, যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় কনভেনশন অন হিউম্যান রাইটস (ইসিএইচআর) ছেড়ে চলে যেতে পারে। যুক্তরাজ্য প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছেন সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান বিভিন্ন সময়।

বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার ডি ক্রু ব্রাসেলসে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ে বলেন, “ আজ ক্লারিজে যা ঘটেছে তা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। ১৮৩০ সাল থেকে স্বায়ত্তশাসন আমাদের গণতন্ত্রের একটি মূল ভিত্তি। বাকস্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের গ্যারান্টিযুক্ত সম্মেলন কখনই বাতিল করা উচিত নয়। রাজনৈতিক সভা নিষিদ্ধ করা অসাংবিধানিক।”

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের একজন মুখপাত্র জানান, “ এটা খুব স্পষ্ট যে কাউকে বাঁধা দেয়া, মুক্ত বক্তৃতা দিতে নিষেধ করা গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর। একমত না হলেও ভিন্নমতকে গুরুত্ব দেয়াই গনতন্ত্রের সৌন্দর্য।”

সম্মেলনটি বন্ধ করার সিদ্ধান্তটি মঙ্গলবার সকালে ইউরোপীয় নেতৃবৃন্দ সহ অনেককে অবাক করে দিয়েছিল বলে জানা যায়। কারণ ভেন্যুতে বিঘ্ন ঘটার কোনো লক্ষণ ছিল না বলে জানায় দ্য গার্ডিয়ান।

সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান

এম.কে
১৭ এপ্রিল ২০২৪

আরো পড়ুন

রানির চেয়ে বেশি সম্পদের মালিক রাজা চার্লস

যুক্তরাজ্যের লন্ডনে আগামী সপ্তাহ জুড়ে তীব্র বৃষ্টিপাতের শঙ্কা

বেপরোয়া গাড়ি চালানোয় মৃত্যু, ব্রিটিশ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

অনলাইন ডেস্ক