ব্রিটিশ অস্ত্র তথা যুক্তরাজ্যের সহায়তা দেওয়া অস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা চালানো পরামর্শ ইউক্রেনকে দিয়েছেন ডেভিড ক্যামেরন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই পরামর্শ দেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকোর প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ডেভিড ক্যামেরন বলেন, ব্রিটিশদের সহায়তা দেওয়া অস্ত্র ইউক্রেন কীভাবে ব্যবহার করবে, তা নির্ধারণের দায়িত্ব কিয়েভের। তবে ব্রিটিশ অস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলার অধিকার ইউক্রেনের আছে।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হয়, ব্রিটিশ সহায়তার অস্ত্র দিয়ে ইউক্রেন রাশিয়ার অভ্যন্তরেও হামলা চালাতে পারবে কি না। জবাবে ক্যামেরন বলেন, ‘ইউক্রেনের সেই অধিকার আছে। যেমনটা রাশিয়া ইউক্রেনের অভ্যন্তরে হামলা চালিয়েছে। আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পারেন যে, নিজেকে রক্ষা করতে গিয়ে ইউক্রেন কী করা প্রয়োজন তা উপলব্ধি করতে পারে।’
এই প্রথম পশ্চিমা কোনো কূটনীতিবিদ উল্লেখ করলেন যে, ইউক্রেন চাইলে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা চালাতে পারে। এর আগে যুদ্ধের শুরু থেকেই ইউক্রেনের পশ্চিমা অংশীদারেরা কিয়েভে সামরিক সহায়তা অব্যাহত রাখার জন্য একটি শর্ত নির্ধারণ করে দিয়েছিল। আর সেটি হলো—রাশিয়ায় হামলা করা যাবে না।
ফিনল্যান্ড, লাটভিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশ তখন থেকেই বলছে যে, তারা আত্মরক্ষার জন্য ইউক্রেনের তরফ থেকে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলার বিষয়টি সমর্থন করে। বিশেষ করে তাদের সরবরাহ করা অস্ত্র দিয়েও রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলাকে তারা সমর্থন করে। তবে এখন পর্যন্ত ইউক্রেন সেই অর্থে রাশিয়ার অভ্যন্তরে উল্লেখযোগ্য কোনো হামলা চালায়নি।
প্রসঙ্গত, ডেভিড ক্যামেরন ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। তিনি ২০১০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। মাঝে দীর্ঘ বিরতির পর তিনি ২০২৩ সালে আবারও রাজনীতিতে ফেরেন এবং ঋষি সুনাকের সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ গ্রহণ করেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি দুই দফায় কিয়েভ সফর করেছেন।
সূত্রঃ রয়টার্স
এম.কে
০৪ এপ্রিল ২০২৪