20.4 C
London
August 6, 2025
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)শীর্ষ খবর

ব্রিটিশ রাজপ্রাসাদের বর্ণবিদ্বেষ!

একের পর এক বর্ণবিদ্বেষের অভিযোগ উঠছে ব্রিটিশ রাজপরিবারের উপর। নিজেদেরকে ‘বর্ণ প্রথায় একেবারেই বিশ্বাসী নয়’, দাবি করলেও সম্প্রতি দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকার অনুসন্ধানী এক রিপোর্টে উঠে এসেছে ভিন্ন চিত্র।

 

খোদ রাজবধু, প্রিন্স হ্যারিপত্নী মেগান মার্কেলের অপরাহ উইনফ্রের দেয়া সাক্ষাৎকারে উঠে আসা বর্ণবিদ্বেষমূলক আলোচনার রেশ কাটতে না কাটতেই খোলসা হলো আরেক গোপন তথ্য!

দ্য গার্ডিয়ানের হস্তগত এক গোপন নথিতে জানা যায়, বর্ণবাদি নীতি থেকে ষাটের দশক পর্যন্ত জাতিগত সংখ্যালঘু এবং অভিবাসীদের রাজপরিবারে চাকরি দেয়ায় নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছিলো বাকিংহাম প্যালেস।

 

ইউকে ন্যাশনাল আর্কাইভের এই নথি জানায়, রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রধান আর্থিক ব্যবস্থাপক ১৯৬৮ সালে ব্রিটিশ সিভিল সার্ভেন্টদের জানিয়েছিলেন, রাজপ্রাসাদের দাপ্তরিক পদগুলোতে অভিবাসী বা বিদেশিদের নিয়োগে অলিখিত নিষেধাজ্ঞা আছে। তবে তাদের গৃহস্থালী কাজকর্মের জন্য নিয়োগ দেয়া যাবে।

 

বাকিংহাম প্যালেস কবে নাগাদ এই বর্ণবিদ্বেষী নীতি থেকে সরে এসেছে তা জানা যায়নি। দ্য গার্ডিয়ান এ বিষয়ে প্রাসাদ কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাইলে মেলেনি কোনো উত্তর। তবে প্যালেস কর্তৃপক্ষ দ্য গার্ডিয়ানকে জানিয়েছে, ১৯৯০ সাল থেকে জাতিগত সংখ্যালঘুদের থেকে অনেককেই নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এর আগে নিয়োগকৃত স্টাফদের পরিচয়ের তথ্য রাখা হয়নি বলে জানায় তারা।

 

উল্লেখ্য, চলতি বছর মার্চ মাসে আফ্রো-আমেরিকান বংশোদ্ভুত রাজবধু মেগান মার্কেল গণমাধ্যমে জানায়, সন্তানসম্ভবা থাকাকালীন সময়ে বাকিংহাম প্রাসাদেই বর্ণবিদ্বেষের শিকার হতে হয়েছে তাকে।  তার গর্ভের সন্তানের গায়ের রঙ কী হবে তাই নিয়ে মন্তব্য করেছেন হ্যারির একজন নিকট আত্মীয় যার নাম পরিচয় তিনি খোলাসা করেননি। তবে তার অনাগত সন্তানকে নিয়ে চলা কানাঘুষায় সেসময় আত্মহত্যাপ্রবণ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। আর এসবেরই ফলস্বরূপ বর্তমানে ব্রিটিশ রাজপ্রাসাদ থেকে বহুদূরে আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ায় হ্যারি ও সন্তানের সাথে বসবাস করছেন তারা।

 

৩ জুন ২০২১
এনএইচ

আরো পড়ুন

লন্ডনে হাইকমিশনার সাইদা মুনার রাজত্বের অবসান হচ্ছে

Barrister MQ Hassan Show 🔹 September 20

অনলাইন ডেস্ক

এখনও রাশিয়ায় পরিচালিত কোম্পানির লভ্যাংশ পান রিশি সুনাকের স্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক