ব্রিটেনে ব্রেক্সিট পরবর্তী খাদ্য সরবরাহ সংকট এখন চরমে। ইতোমধ্যে কয়েকটি রেস্তোরাঁ কার্যক্রম গুটিয়ে নিয়েছে। সামনের সপ্তাহগুলোতেও বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁ বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এ খাতে জড়িত কর্তাব্যক্তিরা।
দেশের সাপ্লাই চেইনের এমন বেহাল দশার কারণে ব্রেক্সিটকেই দুষছেন সংশ্লিষ্টরা। বলা হচ্ছে, ব্রেক্সিটের পর এই খাতের উৎপাদন শ্রমিকরা ইইউতে নিজেদের বাড়িতে চলে যাওয়ায় এবং লরি চালকদের তীব্র সংকটের কারণে রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন রেস্তোরাঁ মালিকরা।
ব্রিটিশ মিট প্রসেসর অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাহী নিক অ্যালেন বলেন, সুপার মার্কেট এবং রেস্তোরাঁয় প্রয়োজন মতো পণ্য সরবরাহ করতে পারছে না এই খাত। এছাড়া, যুক্তরাজ্যের মাংস উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত কর্মীদের সংখ্যা ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে।
তিনি আরও বলেন, ব্রেক্সিটের কারণে সৃষ্ট কর্মী সংকটের ফলে খাদ্য সরবরাহের এই সমস্যা দেখা দিলেও, ব্রেক্সিটের পর থেকে দেশের রাজনীতিবিদদের অভিবাসন সংক্রান্ত সিদ্ধান্তগুলোও এর সঙ্গে জড়িত।
দ্য ইন্ডিপেনডেন্টের খবরে জানা যায়, ব্রিটেন জুড়ে বেশ কয়েকটি আউটলেট বন্ধ করে দিয়েছে ফাস্ট ফুড চেইন নান্দোস।
নিক অ্যালেন যোগ করেন, সামগ্রিক পরিস্থিতির একটি ছোট উদাহরণ হচ্ছে নান্দোস। একইরকম ঘটনা আমরা আরও দেখতে পাব। এমন অনেকে রয়েছেন যারা রেস্তোরাঁ খোলার চেষ্টা করছেন, কিন্তু কর্মী সংকট ও ডেলিভারি জটিলতার কারণে পারছেন না।
ব্রিটিশ পোল্ট্রি কাউন্সিলের প্রধান নির্বাহী রিচার্ড গ্রিফিথস উৎপাদন শ্রমিক ঘাটতি ও সরবরাহের উপর প্রভাব ফেলার পেছনে ব্রেক্সিটকেই দায়ি করেছেন।
ব্রিটিশ পোল্ট্রি কাউন্সিল ও মিট প্রসেসর অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এই খাতের উৎপাদন কর্মীদের সরকারের শর্টেজ অকুপেশন লিস্টে অন্তর্ভুক্তির আহবান করা হয়েছে, যাতে বিদেশি শ্রমিকদের কাজের সুযোগ দেওয়া হয়।
২০ আগস্ট ২০২১
এনএইচ