দ্বিতীয় বার জাতীয় লক ডাউনের ফলে শ্রমিকদের সহযোগিতা অব্যহত রাখাতে ফারলো স্কিমের সময় বাড়ানো হয়েছিল আগামী বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত। আবার এর সময় বাড়ানো হয়েছে। ফারলোর এই স্কিম চলবে ৩০ এপ্রিল ২০২১ সাল পর্যন্ত।
যেসব ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান করোনার কারণে বন্ধ রাখা হয়েছে অথবা সীমিত শ্রমিক দিয়ে ব্যাবসা পরিচালিত হচ্ছে, যেসব শ্রমিক কাজ করছেন না বা কাজে আসতে পারতেছেন না, সেই সব শ্রমিকদের বেতনের ৮০ শতাংশ সরকার দিচ্ছে।
যুক্তরাজ্যের চ্যান্সেলর ঋষি সুনাক বলেন, অর্থনৈতির চাকা সচল রাখতে, ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান এবং শ্রমিকদের সহযোগিতা করার জন্য সরকারের ফারলো স্কিমের সময় বাড়ানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এই শীতে করোনার ভয়াবহতা বেড়ে যাচ্ছে। করোনা মোকাবেলায় আমাদের সবাইকে আরো সতর্ক থাকতে হবে। সেই সাথে দেশের ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান রক্ষা করাও সরকারের দায়িত্ব।
তবে প্রথম ফারলো স্কিমের প্রায় ৩.৫ বিলিয়ন পাউন্ডের দুর্নীতি হয়েছে বলে জানা গেছে। দ্বিতীয় লক ডাউনের ফারলো স্কিমে যাতে দুর্নীতি না হয় সে ব্যাপারে সরকার সচেষ্ট রয়েছে। সরকারের একজন মুখপাত্র বলেন, যারা ফারলো স্কিমে দুর্নীতি করেছেন তাদের আইনের আওতায় এনে বিচার করে কঠিন শাস্তির ব্যাবস্থা করা হবে। ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের সিনিয়র ম্যানেজার বলেন, যদি কেউ এই ফারলো নিয়ে জালিয়াতি বা অপব্যবহার করে, তাহলে অবশ্যই তাদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যাবস্থা করা হবে।
এছাড়া স্বাধীন ব্যাবসা বা সেল্ফ ইমপ্লয়মেন্টদের যারা কাজ করতে পারছেন না বা করোনার কারণে কাজ করা নিষেধ তাদের জন্য পূর্বের মতো সরকারি অনুদান দেওয়া হবে। তবে ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ এর আগে যারা কাজে ছিলেন বা সেল্ফ ইনপ্লয়মেন্টে ছিলেন। তারাই আগামী বছরের ৩০ এপ্রিল ২০২১ পর্যন্ত ফারলো পাবেন।
করোনার সময় লক ডাউনের ফলে শ্রমিকদের সহযোগিতার জন্য কাজে না যেয়েও ঘরে বসে বেতনের ৮০ শতাংশ বেতন দেয় যুক্তরাজ্য সরকার। ঐ সময় এর জন্য তড়িৎ গতিতে ৩৫.৪ বিলিয়ন পাউন্ডের ফারলো স্কিম হাতে নেয় সরকার। এই স্কিমের সাহায্যে অনেক শ্রমিকের উপকার হয়েছে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু নতুন বাজেটের সাথে সাথে এই ফারলো স্কিম শেষ হয়ে যাবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কিত ছিলেন অনেকে।
সূত্র: বিবিসি
১৯ ডিসেম্বর ২০২০
এসএফ