আশ্রয়প্রার্থীদের রুয়ান্ডা পাঠানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়নের নতুন পরিকল্পনাটি আগামী সপ্তাহে আবারও ব্রিটিশ সংসদে উঠতে যাচ্ছে৷ আদালতের বাঁধা দূর করতে এই আইনটি পাশ করতে চায় ঋষি সুনাক সরকার৷
গত মাসে এই আইনের খসড়ার উপর পার্লামেন্টে প্রথম ভোটাভুটি হয়৷ কিন্তু নিজ দলের নেতাদের অনেকেই এর বিরোধিতা করায় সুনাক তার সরকারের আমলের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েন৷ তবে শেষ পর্যন্ত তাদের প্রায় ৩০ জন রক্ষণশীল সদস্য ভোটদানে বিরত থাকতে সম্মত হওয়ায় প্রত্যাশার চেয়েও স্বস্তির জয় পায় সরকার৷
রক্ষণশীল এই পক্ষটির দাবি বিলটিকে আরো কঠোর করতে হবে৷ আর তা না হলে পার্লামেন্টারি প্রক্রিয়ার পরবর্তী ধাপে তারা বিপক্ষে ভোট দেবেন বলে হুমকি দিয়ে রেখেছেন৷
হাউস অব কমন্সের নেতা পেনি মর্ডান্ট মঙ্গলবার বলেছেন বিলটি নিয়ে ১৬ ও ১৭ জানুয়ারি বিতর্ক চলবে এবং বিলটিতে সংশোধনী আনার প্রথম সুযোগ পাবেন৷
ফ্রান্স থেকে নৌকায় করে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে আসা অনিয়মিত অভিবাসীদের ঠেকাতে চেষ্টা চালাচ্ছে ব্রিটিশ সরকার৷ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের নির্বাচনি প্রচারেরও অন্যতম স্লোগান ছিল ‘নৌকা থামাও’৷ এজন্য আগের সরকারের আশ্রয়প্রার্থীদের রুয়ান্ডা পাঠানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়নেরও ঘোষণা দেন তিনি৷
কিন্তু রুয়ান্ডার সাথে করা চুক্তিটি আন্তর্জাতিক ও ব্রিটিশ মানবাধিকার আইনের পরিপন্থি বলে রায় দেন সুপ্রিম কোর্ট৷ এতে বিপাকে পড়ে সরকার৷
প্রতিক্রিয়ায় সুনাক পূর্ব আফ্রিকার দেশটির সাথে নতুন চুক্তি করেন৷ সেই সঙ্গে আইনি বাঁধা পেরুতে পার্লামেন্টে নতুন বিল আনেন৷
সূত্রঃ রয়টার্স
এম.কে
১৩ জানুয়ারি ২০২৪