ফেসবুকে ভারতবিরোধী পোস্টে ‘লাভ’ ইমোজি দেওয়ায় এক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে দেশে পাঠিয়ে দিয়েছে আসামের শিলচরে অবস্থিত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এনআইটি)। গতকাল সোমবার (২৬ আগস্ট) তাকে দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে বলে পুলিশের একটি সূত্র এনডিটিভিকে জানিয়েছেন।
তবে আসামের কাছাড় জেলার পুলিশ সুপার মহাত্তা দাবি করেন, ওই শিক্ষার্থীকে ‘প্রত্যাবাসন’ করা হয়নি, বরং বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরামর্শ করে তাকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
এসপি আরও বলেন, ইলেকট্রনিকস এবং কমিউনিকেশন বিভাগের চতুর্থ সেমিস্টারের ছাত্রী মাইশা মেহজাবিনকে আন্তর্জাতিক সীমান্ত বর্ডার করিমগঞ্জ জেলার সুতারকান্দি ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্ট (আইসিপি) এর মাধ্যমে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম পিটিআইকে মহাত্তা বলেন, ফেসবুকে মেহজাবিন তার সিনিয়র শাহাদাত হোসেন আলফির একটি ভারতবিরোধী পোস্টে ‘লাভ’ চিহ্ন দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন। শাহাদাত ছয় মাস আগে তার কোর্স শেষ করে ভারত ছেড়ে চলে যান এবং এখন বাংলাদেশে বাস করছেন।
অবশ্য ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি শিলচরের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মেহজাবিন দেশের ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন এবং রোববার সে ছুটিও নিয়েছিল।
মেহজাবিন তার কোর্স শেষ করতে ফিরে আসবেন কিনা জানতে চাইলে এসপি বলেন, ‘তিনি এখনো তার কোর্স সম্পন্ন করেননি। তিনি আবার ফিরে এসে তার পড়াশোনা সম্পন্ন করবেন কিনা, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।’
এদিকে হিন্দু রক্ষী দলের মুখপাত্র শুভাশীষ চৌধুরী পিটিআইকে বলের, তারা প্রাক্তন ছাত্রীর ভারতবিরোধী পোস্ট লক্ষ্য করেছে এবং পুলিশকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা কিছু ভারতবিরোধী পোস্ট ফরোয়ার্ড করেছি। পোস্টটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে করা হয়েছে। সে (মেহজাবিন) এমন একটি পোস্টে ‘লাভ’ চিহ্ন দিয়ে সমর্থন জানিয়েছে।’
সরকারি সূত্র বলছে, এই মুহূর্তে এনআইটি শিলচরে পড়াশোনা করেন ৭০ জন বাংলাদেশি ছাত্রছাত্রী। এর মধ্যে প্রায় ৪০ জন হিন্দু ছাত্র রয়েছে। তাদের সবার সঙ্গে পুলিশের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে। ভারতবিরোধী কোনও রকম কর্মসূচিতে সমর্থন ও মতপ্রকাশ করতে নিষেধ করা হয়েছে তাদের।
সূত্রঃ এনডিটিভি
এম.কে
২৭ আগস্ট ২০২৪