TV3 BANGLA
বাংলাদেশ

ভিসা দুর্নীতির অভিযোগে ঢাকায় ইতালি দূতাবাসের কর্মী গ্রেপ্তার

বাংলাদেশে অবস্থিত ইতালির দূতাবাসের এক কর্মী ঘুষ এবং অবৈধ ভিসা বাণিজ্যের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন। ইউরোপীয় সংবাদ মাধ্যম ব্রাসেলস সিগন্যাল বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যেখানে বলা হয়, গ্রেপ্তারকৃত কর্মী অবৈধ উপায়ে ভিসা দিয়ে পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

প্রতিবেদনে জানা গেছে, একটি ঘটনায় সম্প্রতি ব্রাদার্স অব ইতালি (এফডিআই) পার্টির এমপি ও ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য আঁদ্রে ডি গুসেপিকে একজন স্টাফ ঘুষ দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন। ওই স্টাফ ২০ লাখ ইউরো এবং প্রতি অভিবাসীর ভিত্তিতে আয়ের একটি শতাংশ প্রস্তাব করেছিলেন। তবে আঁদ্রে ডি গুসেপে প্রস্তাবটি গ্রহণ না করে, তা রেকর্ড করেন এবং বিষয়টি প্রসিকিউটরদের জানিয়ে দেন। এর মাধ্যমে দুর্নীতির এই চক্রটি প্রকাশ্যে আসে।

এদিকে, অভিযোগ রয়েছে যে, অবৈধভাবে কাজের ভিসা বিক্রির সাথে জড়িত ছিলেন বাংলাদেশের একজন উদ্যোক্তা ও রোমের একটি রেস্তোরাঁর মালিক। এই ব্যক্তি বাংলাদেশ থেকে অভিবাসীদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পাঠানোর ব্যবস্থা করতেন। তার এই কাজে সহায়তা করতেন ঢাকায় ইতালির কন্সুলার অফিসের তিন কর্মকর্তা।

কনস্যুলেটের কর্মকর্তাদের মধ্যে দুইজন গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন— বাংলাদেশে ইতালির দূতাবাসের ভিসা বিভাগের প্রাক্তন প্রধান এবং একজন প্রাক্তন কর্মকর্তা, যিনি ঢাকায় ভিসা প্রক্রিয়ার দায়িত্বে ছিলেন এবং পরবর্তীতে তুরস্কে বদলি হন। তারা ভিসা প্রদান প্রক্রিয়ায় সরাসরি জড়িত ছিলেন।

তারা ঘুষ দাবি করতেন নগদ টাকা, বিলাসবহুল ঘড়ি, উচ্চমানের ইলেকট্রনিক পণ্য এবং এমনকি দুবাই সফরের জন্য সব খরচ বহন করার জন্য। এছাড়া, কিছু ক্ষেত্রে তারা বিমানের টিকেট এবং ব্যক্তিগত জিনিসের জন্যও অর্থ নিতেন।

প্রসিকিউটররা জানিয়েছেন, ভিসা দানের বিনিময়ে এসব কর্মকর্তারা অভিবাসীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করতেন। তারা আরও বলেন, যারা ভিসা গ্রহণের জন্য আবেদন করতেন, তাদের ১৫ হাজার ইউরো পর্যন্ত শোধ করতে বাধ্য করা হতো।

ভিসার জন্য বাংলাদেশি আবেদনকারীরা অস্তিত্বহীন কোম্পানির নামে আবেদন করতেন, যা ঢাকায় ইতালির দূতাবাসের চেকিং ব্যবস্থার অযোগ্যতার কারণে সম্ভব ছিল। রোমের অভিবাসন বিষয়ক ডেস্কে কম্পিউটার সিস্টেমের অভাবে ভুয়া বা নকল ডকুমেন্ট দিয়ে আবেদন করা সহজ ছিল।

প্রাথমিক তদন্তে রোমের কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। ১৯ ফেব্রুয়ারি ইতালি কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগে মোট ৫ জনকে আটক করেছে। তাদের মধ্যে দুইজন সরকারি কর্মকর্তা গৃহবন্দি রয়েছেন, এবং দুই বাংলাদেশিকে জেলে পাঠানো হয়েছে দুর্নীতি ও অবৈধ ভিসা বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগে।

সূত্রঃ ব্রাসেলস সিগন্যাল

এম.কে
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

আরো পড়ুন

টিউলিপ সিদ্দিকের স্থলাভিষিক্ত হলেন এমা রেনল্ডস

খুব ভাল্লাগছে তোমরা আইছো আমারে দেখবার লাগিঃ হামজা চৌধুরী

চিন্ময় কৃষ্ণকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতের বিবৃতি